মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আসন্ন এশিয়া সফরের সময় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে দেখা করতে চান তিনি। শনিবার (২৫ অক্টোবর) এশিয়া সফরে রওনা হওয়ার আগে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ট্রাম্প। এ সময় তার সঙ্গে কিমের ‘চমৎকার সম্পর্ক’ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমি কিম জং উনের সঙ্গে দেখা করতে রাজি। যদি আপনারা সেটা প্রচার করতে চান, আমি তাতে আগ্রহী।’
২০১৯ সালে প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে উত্তর কোরিয়ার মাটিতে পা রেখে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম মেয়াদে উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও করমর্দন করেছিলেন তিনি।
মালয়েশিয়া ও জাপান সফরে একাধিক বিশ্বনেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ট্রাম্প। তাদের মধ্যে রয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সফরটি এমন সময় হচ্ছে যখন ট্রাম্পের আরোপিত ব্যাপক শুল্কনীতির পর বাণিজ্য আলোচনাগুলো আবারও শুরু হয়েছে।
প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প ও কিম তিনবার মুখোমুখি সাক্ষাৎ করেছিলেন। কিন্তু পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ কর্মসূচি নিয়ে কোনও চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেননি। এরপর থেকে,প্রতিবেশী দেশগুলোর দাবি অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়া একাধিক আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে।
উত্তর কোরিয়াকে ঘিরে ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল প্রচলিত ধারা থেকে ভিন্ন। উত্তর কোরিয়া সাম্যবাদী একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্র,যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রায় বিচ্ছিন্ন। সেই দেশটির নেতার পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টা নিয়ে শুরুতে কিমকে ‘লিটল রকেট ম্যান’ বলে ব্যঙ্গ করেছিলেন ট্রাম্প।
কিম বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগের ‘অযৌক্তিক’ দাবি থেকে সরে আসে, তাহলে তিনি আবারও ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাজি।
গত মাসে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে উনের এমন বক্তব্য উঠে আসে। এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার একীকরণমন্ত্রী চুং ডং-ইয়ংও এএফপি সংবাদ সংস্থাকে জানান, এপেক ফোরামের সময় ট্রাম্প ও কিমের দেখা হওয়ার ‘উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা’ রয়েছে।
তবে আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে ট্রাম্পের সূচিতে এমন কোনও বৈঠক অন্তর্ভুক্ত নেই। যদিও দুই কোরিয়ার মধ্যে অসামরিকীকৃত অঞ্চলে তাদের শেষ সাক্ষাৎটি এসেছিল ট্রাম্পের সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া আমন্ত্রণের সূত্রে।
ট্রাম্পের প্রথম গন্তব্য হবে মালয়েশিয়া। সেখানে তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সংস্থা আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দেবেন।
আগামী বুধবার এপেক শীর্ষ সম্মেলনের আগে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার। সেখানে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।