
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রোকে ‘অবৈধ মাদক নেতা’ আখ্যা দিয়েছেন এবং ঘোষণা করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির জন্য তহবিল বা অর্থ সাহায্য কমিয়ে দেবে।
ট্রাম্প রবিবার তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফরমে এক পোস্টে দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট পেত্রো কলম্বিয়াজুড়ে ‘মাদকদ্রব্যের ব্যাপক উৎপাদনকে জোরালোভাবে উৎসাহিত করছেন।’ উল্লেখ্য, তিনি বারবার দেশটির নাম ‘কলম্বিয়া’-এর বদলে ভুলভাবে ‘কলাম্বিয়া’ লিখেছেন।
তিনি পেত্রোকে ‘নিম্ন মানের এবং খুবই অজনপ্রিয়’ নেতা বলে অভিহিত করেছেন এবং সতর্ক করেছেন, পেত্রোর ‘মাদক কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া ভালো,’ নয়তো যুক্তরাষ্ট্র ‘তার জন্য সেগুলো বন্ধ করে দেবে এবং তা সহজে হবে না।
ট্রাম্প আরো বলেন, ‘এই মাদক উৎপাদনের উদ্দেশ্য হলো প্রচুর পরিমাণে পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি করা, যা মৃত্যু, ধ্বংস এবং চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।’ তিনি বলেন, কলম্বিয়াকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ও ভর্তুকি একটি প্রতারণা।
তিনি বড় হরফে লেখেন, ‘আজ থেকে এই অর্থ বা অন্য কোনো প্রকার অর্থ পরিশোধ কিংবা ভর্তুকি আর দেওয়া হবে না।’ তবে ট্রাম্প ঠিক কোন অর্থ পরিশোধের কথা বলছেন, তা স্পষ্ট ছিল না।
এর আগে ক্যারিবিয়ান সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ হামলার পর প্রেসিডেন্ট পেত্রো রবিবার ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হত্যার অভিযোগ এনেছিলেন এবং এর ব্যাখ্যা দাবি করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র শনিবার জানায়, তারা ওই হামলার দুজন জীবিত ব্যক্তিকে কলম্বিয়া ও ইকুয়েডরে ফেরত পাঠাচ্ছে। সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে এটি ষষ্ঠ হামলা। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, এসব হামলায় কথিত মাদক পাচারকারীদের লক্ষ্য করা হচ্ছে এবং এতে কমপক্ষে ২৯ জন নিহত হয়েছে।
গত মাসে ট্রাম্প প্রশাসন কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে মাদকবিরোধী যুদ্ধে সহযোগিতা না করার অভিযোগ এনেছিল, যদিও সে সময় ওয়াশিংটন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার একটি আদেশ জারি করেছিল, যা কার্যকর হলে সহায়তায় কাটছাঁট হতে পারত।
জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, কলম্বিয়া বিশ্বের বৃহত্তম কোকেন রপ্তানিকারক এবং কোকা পাতার চাষ গত বছর সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল। কোকা পাতা হলো কোকেনের প্রধান উপাদান। গত বছর পেত্রো ব্যাপক সামাজিক ও সামরিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে কলম্বিয়ার কোকা চাষ অঞ্চলগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু সেই কৌশল খুব কম সাফল্য এনেছে।