Image description

ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রু তাঁর ডিউক অব ইয়র্কসহ সব রাজকীয় উপাধি ত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন। ব্যক্তিগত এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন—দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বিরুদ্ধে চলা অভিযোগ রাজপরিবারের ভাবমূর্তিতে প্রভাব ফেলছে, তাই তিনি নিজেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময় শুক্রবার মধ্যরাতে বিবিসি জানিয়েছে, অ্যান্ড্রু দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন যৌন অপরাধী জেফরি অ্যাপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে তীব্র সমালোচনার মুখে ছিলেন। রাজপ্রাসাদের ভেতর থেকেও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ওঠে। অবশেষে রাজা তৃতীয় চার্লস এবং পরিবারের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি উপাধি ও সম্মাননা ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।

বিবৃতিতে প্রিন্স অ্যান্ড্রু বলেন, ‘রাজা এবং পরিবারের সঙ্গে আলোচনার পর আমরা মনে করেছি, আমার বিষয়ে চলমান অভিযোগগুলো রাজপরিবারের কাজের পথে বাধা সৃষ্টি করছে। আমি সব সময় পরিবারের ও দেশের দায়িত্বকেই অগ্রাধিকার দিয়েছি। সেই কারণেই আমি এখন উপাধি ও সম্মাননা ব্যবহার বন্ধ করছি। তবে আমি আগের মতোই আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ অস্বীকার করছি।’

প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে মার্কিন নাগরিক ভার্জিনিয়া জিউফরের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের মামলা, যা তিনি আদালতের বাইরে মিটিয়ে ফেলেছিলেন। এ ছাড়া তাঁর আর্থিক লেনদেন এবং এক চীনা গুপ্তচরের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

তিনি এখন থেকে আর ‘ডিউক অব ইয়র্ক’ উপাধি ব্যবহার করবেন না, যদিও তাঁর ‘প্রিন্স’ পরিচয় বহাল থাকবে। এই উপাধি তিনি পেয়েছিলেন প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছ থেকে। এর আগে তিনি ‘ওয়ার্কিং রয়্যাল’ বা সক্রিয় রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন বন্ধ করেছিলেন এবং ‘এইচআরএইচ’ খেতাবও হারান।

এদিকে অ্যান্ড্রুর প্রাক্তন স্ত্রী সারাহ ফার্গুসনও আর ‘ডাচেস অব ইয়র্ক’ নামে পরিচিত থাকবেন না। তবে তাঁদের দুই কন্যা—প্রিন্সেস বিট্রিস ও ইউজেনির রাজকন্যার মর্যাদা বজায় থাকবে।

উল্লেখ্য, আগামী সপ্তাহে ভার্জিনিয়া জিউফরের একটি স্মৃতিকথা প্রকাশ পেতে যাচ্ছে, যা আবারও প্রিন্স অ্যান্ড্রুর অতীত ও তাঁর অ্যাপস্টেইন–যোগ নিয়ে আলোচনার ঝড় তুলতে পারে।