Image description

দেশে সয়াবিন ও পাম তেলে সহনীয় মাত্রার চেয়ে ২০ গুণ বেশি মার্কারি (হেভিমেটাল) পাওয়া গেছে, এটি মূলত নার্ভাস সিস্টেম, কিডনি, হৃদযন্ত্র এবং রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে বলে উল্লেখ করেছেন অবসরে থাকা আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব কবীর মিলন। আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক একাউন্টে এ তথ্য জানান।

স্ট্যাটাসে মাহবুব কবীর মিলন লেখেন, ‘সকালেই একটা শুভ সংবাদ দিচ্ছি। আমাদের সকল সয়াবিন আর পাম খাদ্য তেলে সহনীয় মাত্রার চেয়ে ২০গুন বেশি মার্কারি (হেভিমেটাল) পাওয়া গেছে। মার্কারি আমাদের নার্ভাস সিস্টেম, কিডনি এবং হৃদযন্ত্র ও রক্তনালীকে ধ্বংস করে দেয়। সারা বাংলাদেশ থেকে ১৫২১টি সয়াবিন ও পাম তেলের নমুনা স্যাম্পল নিয়ে এই পরীক্ষা করা হয় কয়েক বছর আগে। জার্নাল পাবলিশ হয় গত বছর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাজমা শাহীন ম্যাডাম ছিলেন এই রিসার্চে।’

তিনি অভিযোগ করেছেন, ‘রিসার্চ এবং জার্নাল পাবলিশ হল, এরপর কারো মুখে, কারো কাছে, কোনো পত্রিকা কিংবা নিউজে এই নিয়ে কোনো আলাপ আলোচনা, ফিসফাস, হৈ-চৈ শুনেছেন! কোনো নড়াচড়া! বিএসটিআই কিংবা ফুড সেইফটি অথোরিটি কিংবা সরকার কি কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে? আরও ব্যাপকভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছে? করেনি। কারণ ব্যবসায়ী সংগঠন। মানুষ মরুক। ব্যবসা হোক। সরকারি কর্মকর্তাদের পকেট ভারী হোক। পত্র পত্রিকার কামাই হোক। রিসার্স হবে, পিএইচডি হবে, পাবলিশ হবে। কিন্তু খবরদার আবাল জনগণ যেন জানতে না পারে। আবালরা তো শুধু ভোট দেবে।’ 

মো. মাহবুব কবীর মিলন সতর্ক করেছেন, আমাদের ২০-৩০ বছরের মানুষের যে মারাত্মক হার্ট অ্যাটাক বেড়ে গেছে, সেটার প্রধান কারণ যে এই মার্কারি হবে না, সেটা কি নিশ্চিত বলতে পারেন।

তিনি আরও জানান, ‘নার্ভাস সিস্টেম ধ্বংস হতে থাকলে কী হয় জানেন? কিডনির কথা বাদ দিলাম। দেশে প্রায় চার কোটি কিডনি রোগী। 
এই জার্নালের কথা আজ জানলাম মাত্র। আমি কয়েকমাস আগে বিএসটিআইকে পত্র দিয়েছিলাম, সয়াবিন তেলের স্ট্যান্ডার্ড চেঞ্জ করে নতুন করে সেট করতে। সেখানে বলেছিলাম ক্যামিকেল বা সিনথেটিক ক্লে ব্যবহার না করে আর্থ গ্রেড ক্লে ব্যবহার ম্যান্ডেটরি করতে। এটা সয়াবিন পরিশোধন করতে ব্যবহার হয়। সিনথেটিক ক্লে-তেই হেভিমেটাল থাকে।’

তিনি বলেন, ‘সয়াবিন তেলের হেভিমেটাল পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে। তারা তা করবে বলে জেনেছি। আগে কখনোই করা হয়নি।’

 

অতিরিক্ত সচিব নিজেকে বিজ্ঞানী বা সাইন্টিস্ট নয় উল্লেখ করে বলেন, ‘ফেল করা কলা আর বাণিজ্যের ফেল্টু ছাত্র ছিলাম। এক আবাল জনতা।’