
উত্তর প্রদেশের সাম্ভাল জেলায় 'ছোট্টি মসজিদ' নামে পরিচিত একটি ৩০ বছরের পুরনো মসজিদ গুঁড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এই ঘটনা মুসলিম সম্প্রদায়ের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
ভারতীয় কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, মসজিদটি পাবলিক পার্কের জমিতে তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা মসজিদ ভাঙার এই ঘটনাকে ইচ্ছাকৃত অপমান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
সেদাংলি-মানোটা রোডে শ্রী কল্কি ধামের কাছে অবস্থিত এই মসজিদটি ভারী পুলিশ মোতায়েন করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতারা মসজিদ ধ্বংসের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, কেন পুরনো ধর্মীয় কাঠামোগুলিকে বিশেষভাবে টার্গেট করা হচ্ছে।
মসজিদের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মোহাম্মদ জামিল সাংবাদিকদের বলেন, "এই মসজিদ কারও ক্ষতি করছিল না। কয়েক দশক ধরে মানুষ এখানে নামাজ পড়তেন। যদি এটি পার্কের জমিতে তৈরি হয়ে থাকে, তাহলে প্রশাসন কেন ৩০ বছর ধরে নীরব ছিল?"
তিনি আরও বলেন, "আমাদের আপিল করার ন্যায্য সুযোগও দেওয়া হয়নি। সবকিছু তড়িঘড়ি করা হয়েছে, যেন সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল।"
স্থানীয় এক প্রবীণ ব্যক্তিত্ব হাফিজ আব্দুল সাত্তার দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, "মসজিদটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ ছিল। এটি গ্রামবাসীদের অবদানে তৈরি হয়েছিল এবং আমাদের বিশ্বাসের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়েছিল। এটিকে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলতে দেখাটা ছিল হৃদয়বিদারক।"
মুসলিম বাসিন্দারা বলেছেন, এই ধরনের ধ্বংসযজ্ঞগুলি উচ্ছেদ অভিযানের আড়ালে বেছে বেছে পদক্ষেপ নেওয়ার একটি চিত্র তুলে ধরে।
সাম্ভাল শহরের বাসিন্দা শফিক আহমেদ বলেন, "যখনই কোনো মসজিদ বা মুসলিম সম্পত্তির কথা আসে, সঙ্গে সঙ্গে বুলডোজার পাঠানো হয়। কিন্তু যখন অবৈধ মন্দির বা অন্যান্য কাঠামো তৈরি হয়, তখন প্রশাসন অন্য দিকে তাকায়।"