Image description
 

ভেনেজুয়েলায় গোপন অভিযান চালানোর জন্য মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে (সিআইএ) অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।  স্থানীয় সময় বুধবার (১৫ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি নিজেই। 

 

গত কয়েক সপ্তাহে মার্কিন বাহিনী ক্যারিবীয় অঞ্চলে সন্দেহজনক মাদকবাহী নৌকার দোহাই দিয়ে অন্তত পাঁচটি হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় ২৭ জন নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা একে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাযজ্ঞ’ বলে উল্লেখ করেছেন।

হোয়াইট হাউসে দেওয়া বক্তব্যে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলা অঞ্চলের মাদক পাচার ঠেকাতে স্থলভাগেও অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের অনুমোদনের কারণে সিআইএ একতরফাভাবে বা যেকোনো বিস্তৃত মার্কিন সামরিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ভেনেজুয়েলায় অভিযান চালাতে পারবে।

সিআইএ ভেনেজুয়েলায় অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে কি না, কিংবা এসব পরিকল্পনাকে বিকল্প হিসেবে রাখা হচ্ছে কি না, তা জানা যায়নি। তবে গোয়েন্দা সংস্থাটি দীর্ঘদিন ধরেই দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে তৎপরতা চালাচ্ছে।

 

 

বুধবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্পকে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো এফবিআইয়ের পরিচালক কাশ প্যাটেল এবং অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এক সাংবাদিক ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপনি কেন সিআইএকে ভেনেজুয়েলায় পাঠানোর অনুমতি দিয়েছেন?’

জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘দুটি কারণে আমি অনুমতি দিয়েছি। ১ নম্বর কারণ হলো, তারা (ভেনেজুয়েলা) তাদের কারাগারগুলো খালি করে সেখানকার বাসিন্দাদের যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে দিয়েছে। আরেকটি বিষয় হলো মাদক। ভেনেজুয়েলা থেকে প্রচুর মাদক যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকে। আপনারা দেখে থাকবেন, ভেনেজুয়েলার মাদকের একটি বড় অংশ সমুদ্রপথে আসে। তবে আমরা তাদের স্থলপথেও আটকাব।’

সিআইএর লক্ষ্য মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করা কি না, সে ব্যাপারে কিছু বলেননি ট্রাম্প। তবে আগে থেকেই মাদুরোকে গ্রেফতারে সহায়ক তথ্য দিতে পারলে পাঁচ কোটি ডলার পুরস্কারের ঘোষণা দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।