Image description
 

ইয়েমেনের হুথি আন্দোলন জানিয়েছে, তাদের সামরিক স্টাফ চিফ মোহাম্মদ আল-ঘামারি নিহত হয়েছেন। এক বিবৃতিতে বলা হয়, আল-ঘামারি ও তার কিশোর পুত্র ‘ইসরাইলি শত্রুর বিরুদ্ধে সম্মানজনক যুদ্ধের’ সময় প্রাণ হারান।

 

এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

 

ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইয়েমেনের রাজধানী সানায়া-তে আগস্টের শেষ দিকে এক বিমান হামলায় আহত অবস্থায় আল-ঘামারি পরবর্তীতে মারা যান। ওই হামলায় হুথি সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও আরও কয়েকজন মন্ত্রীও নিহত হন।

 

ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ বলেন, ‘সন্ত্রাসের নেতৃত্বে থাকা আরেকজন স্টাফ চিফকে আমরা নির্মূল করেছি।’ 

 

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বিবৃতিতে যোগ করেন, ‘যারা আমাদের ক্ষতি করতে চায়, আমরা তাদের প্রত্যেকের কাছে পৌঁছাব।’

 

ইরান-সমর্থিত হুথিরা গত এক দশক ধরে উত্তর-পশ্চিম ইয়েমেনের অধিকাংশ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই দেশটিতে বিধ্বংসী গৃহযুদ্ধ চলছে।

 

২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর হুথিরা ফিলিস্তিনের সমর্থনে ইসরাইল ও লোহিত সাগরের জাহাজ পরিবহনে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো শুরু করে। এর জবাবে ইসরাইল একাধিক দফায় হুথি-নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনে বিমান হামলা চালিয়েছে।

 

এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যও হুথি হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইয়েমেনে তাদের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে একাধিক হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার এক টেলিভিশন বয়ানে ইয়েমেনের সামরিক সূত্র জানায়, আল-ঘামারি ফিলিস্তিনের পক্ষে সমর্থন কার্যক্রমে নিয়োজিত অবস্থায় শহীদ হয়েছেন। বিবৃতিতে তাকে ও তার সঙ্গীদের দৃঢ় মুজাহিদি আত্মা, গভীর জ্ঞান ও সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতার অধিকারী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

 

ইয়েমেনী বাহিনী জোর দিয়ে বলেছে, এখনো সামরিক কার্যক্রম চালু আছে এবং যুদ্ধসামগ্রী ও মহড়া থেমে নেই। 

 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘রকেট ও ড্রোন আঘাতের পরিমাণ কমেনি, এবং সামরিক যন্ত্রাংশ পূর্ণ কার্যক্রমে আছে।’

 

তারা আরও জানায় যে ‘অপরাধী শত্রুর বিরুদ্ধে আঘাত তীব্র হয়েছে’ এবং যুদ্ধ চলমান রয়েছে।