
নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া মারিয়া কোরিনা মাচাদো গাজা গণহত্যার সমর্থক উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরান। রোববার (১২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় দেশটির আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা মেহের।
শনিবার এক্সে দেয়া বার্তায় ভেনেজুয়েলায় অবস্থিত ইরানি দূতাবাস বলেছে, ‘গাজায় গণহত্যাকে ন্যায্যতা প্রদানকারী এবং ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে বিদেশি সামরিক আগ্রাসনের আহ্বানকারী এমন একজনকে ‘শান্তি’ পুরস্কার প্রদান করা উন্নয়নশীল বিশ্বের প্রতি পশ্চিমাদের বিভেদমূলক এবং হস্তক্ষেপবাদী মানসিকতার আরেকটি ইঙ্গিত।’
ইরানি মিশন জোর দিয়ে বলেছে, ‘শান্তিতে নোবেলের জন্য নোবেল কমিটির এই পছন্দটি “শান্তি” ধারণার প্রতি উপহাস ছাড়া আর কিছুই নয়।’
শুক্রবার ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেত্রী মারিয়া করিনা মাচাদোকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করে নোবেল কমিটি। তাকে ভেনেজুয়েলার জনগণের জন্য গণতান্ত্রিক অধিকার প্রচারক হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। তবে সমালোচকরা ইসরায়েলি শাসনের প্রতি মাচাদোর স্পষ্ট সমর্থনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন।
এর আগে মাচাদো ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অতি-ডানপন্থি মন্ত্রিসভার প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেছিলেন, নির্বাচিত হলে তিনি তেল আবিব থেকে অধিকৃত আল-কুদসে ভেনেজুয়েলার দূতাবাস স্থানান্তর করবেন। এটি এমন একটি পদক্ষেপ, যেখানে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ভেনেজুয়েলার সমন্বয় করবে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি ঐতিহাসিক সমর্থন থেকে স্পষ্ট পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেবে।
তার রাজনৈতিক দল ভেন্তে ভেনেজুয়েলা, নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তিও সই করেছে এবং ভেনেজুয়েলা এবং ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থার মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মেহেরের প্রতিবেদনে বলা হয়, মাচাদো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন স্পষ্টবাদী সমর্থকও ছিলেন।