
গাজায় দখলদার ইসরায়েল আরোপিত অবৈধ নৌ অবরোধ ভাঙতে রওনা হয়েছিল আন্তর্জাতিক একটি নৌবহর। ফ্রিডম ফ্লোটিলা নামের এই নৌবহরে বাংলাদেশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলমও ছিলেন। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, দেশটির নৌবাহিনী শহিদুল আলমকে বহনকারী নৌযান কনসেন্সসহ ফ্লোটিলার সব নৌযান আটক করেছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, তেল আবিব জানিয়েছে, গাজার সমুদ্র অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করা নতুন একটি নৌবহরকে তারা থামিয়ে দিয়েছে। ফ্লোটিলার নৌযান ও যাত্রীদের আটক করে ইসরায়েলি বন্দরে নেওয়া হচ্ছে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছে, ‘আইনসিদ্ধ নৌ অবরোধ ভাঙা ও যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশের আরেকটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা শেষ হলো। নৌযান ও যাত্রীদের ইসরায়েলি বন্দরে নেওয়া হচ্ছে। সব যাত্রী নিরাপদ ও সুস্থ আছেন। তাঁদের দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানো হবে।’
এর আগে বাংলাদেশ সময় আজ সকাল ৯টার কিছু পরে শহিদুল আলম তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেও ভিডিও শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘ইসরায়েলিরা কনসেন্সের দিকে এগিয়ে আসছে।’ আরেক ভিডিও ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘ইসরায়েলিরা এগিয়ে আসছে।’
এই ঘটনার এক সপ্তাহ আগে ইসরায়েলি নৌবাহিনী ‘সুমুদ ফ্লোটিলা’ নামের একটি নৌবহর থেকে অন্তত ৪০টি নৌযান আটক করে। গাজা অবরোধ ভাঙতে এটা ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ওই অভিযানে অংশ নেওয়া ৪৭৯ জনের মধ্যে বেশির ভাগকেই আটক করে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের অনেককে নির্যাতনও করা হয়। পরে তাঁদের তুরস্ক, গ্রিস ও স্লোভেনিয়ায় পাঠানো হয়। তাঁদের মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও ছিলেন।
অন্যদিকে গাজা ফ্রিডম ফ্লোটিলা তাদের সর্বশেষ আপডেটে জানিয়েছে, তাদের নৌযানগুলো ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আক্রমণ করেছে। গাজার উদ্দেশে যাত্রা করা বেশ কয়েকটি নৌকা আটক করা হয়েছে।
ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে সংগঠনটি জানায়, ইসরায়েলি সেনারা সংকেত বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে। এর মধ্যে অন্তত দুটি নৌযানে প্রবেশ করেছে তারা।