
গাজার সামুদ্রিক অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করা নতুন ফ্লোটিলার জাহাজ ও যাত্রীদের আটক করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের আলোকচিত্রী এবং লেখক শহীদুল আলম।
আটকের পর নিজের ফেসবুক আইডিতে তিনি একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। যেখানে তিনি বলেছেন, ‘আমি শহীদুল আলম। বাংলাদেশের একজন আলোকচিত্রী এবং লেখক। আপনি যখন এই ভিডিওটি দেখছেন, তার আগে আমাদের সমুদ্রে আটক করা হয়েছে। আমাকে ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী অপহরণ করেছে, যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা শক্তির সক্রিয় সহযোগিতায় গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। আমি আমার সকল কমরেড এবং বন্ধুদের কাছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করছি।’
এদিকে টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে-গাজার সামুদ্রিক অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করা নতুন ফ্লোটিলা তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। ফ্লোটিলার জাহাজ ও যাত্রীদের আটক করা হয়েছে এবং ইসরায়েলের একটি বন্দরে নেওয়া হচ্ছে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক্সে-এ (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘আইনগত নৌ অবরোধ ভাঙার এবং লড়াইক্ষেত্রে প্রবেশের আরেকটি বৃথা চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। জাহাজ ও যাত্রীদের ইসরায়েলের একটি বন্দরে স্থানান্তর করা হয়েছে। সকল যাত্রী নিরাপদ এবং সুস্থ আছেন। যাত্রীদের দ্রুত দেশত্যাগের জন্য প্রস্তুত করা হবে।’
এই ঘটনা ঘটে এক সপ্তাহের মাথায়, যখন নৌবাহিনী ৪০টিরও বেশি জাহাজ আটক করেছিল।
ওই ফ্লোটিলাকে বলা হয়েছিল সুমুদ ফ্লোটিলা, যা এ পর্যন্ত গাজা অবরোধ চ্যালেঞ্জ করার সবচেয়ে বড় অভিযান। ইসরায়েল এই অভিযানে অংশ নেওয়া ৪৭৯ জনের মধ্যে অধিকাংশ সক্রিয়কর্মীকে ভিন্ন ভিন্ন দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। যার মধ্যে সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও ছিলেন।
দেখুন ভিডিও: