
লন্ডনের ‘সংঘাতমুখী অবস্থান’ অব্যাহত রাখার জবাবে ব্রিটিশ রাজনৈতিক মহল ও তথাকথিত বিশেষজ্ঞ সম্প্রদায়ের কয়েকজন ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে রাশিয়া। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে তাস।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে সওয়াল করছেন, লন্ডনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িত এবং আমাদের দেশবিরোধী উপাদান তৈরি ও ভুয়া বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষণ ছড়াচ্ছেন—তাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন ওপেন সোর্স সেন্টার থিঙ্কট্যাঙ্কের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জেমস বায়র্ন, যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য ও ব্যবসা দফতরের অধীন অফিস অব ট্রেড স্যাংশনস ইমপ্লিমেন্টেশনের উপপরিচালক আন্না ডেইবেল-জুং, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির সংসদ সদস্য ডেভিড ডুগান এবং ব্রিটেনের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন অফিসের সেক্টরাল স্যাংশনস (ট্রেড) বিভাগের প্রধান ম্যাক্স পেত্রোকোফস্কি।
এছাড়া যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন অফিস অব ফিনান্সিয়াল স্যাংশনস ইমপ্লিমেন্টেশনের আরও কয়েকজন কর্মকর্তার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, লন্ডন এখনও ‘কিয়েভ শাসনের সহায়তায় রাশিয়াকে কৌশলগতভাবে পরাজিত করার’ আশা ছাড়েনি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইউক্রেন প্রকল্প একের পর এক ব্যর্থতায় পড়লেও ব্রিটেন সম্প্রতি নতুন করে রুশবিরোধী গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ তুলে ইউরোপে সামরিক হুমকির ভয় দেখাচ্ছে এবং নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিচ্ছে, যা বাস্তবে নিজেদের অর্থনীতিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে।’
রাশিয়ার সতর্কবার্তা, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশটিকে অসম্মানিত বা বিচ্ছিন্ন করার ব্রিটেনের যেকোনো প্রচেষ্টা কঠোর জবাবের মুখে পড়বে। ‘আমরা আবারও স্পষ্ট করছি, বিশেষ সামরিক অভিযানসহ যেকোনো প্রেক্ষাপটে রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার ব্রিটেনের পদক্ষেপের কঠিন ও শক্ত প্রতিক্রিয়া জানানো হবে,’ বলা হয়েছে বিবৃতিতে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ইউরোপ ও বৈশ্বিক অঙ্গনে উত্তেজনা বাড়ানোর যুক্তরাজ্যের ‘বিধ্বংসী নীতি’র কারণে রুশ নিষেধাজ্ঞার তালিকা আরও সম্প্রসারিত করা হবে।