
শীর্ষস্থানীয় একটি আমেরিকান দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকটি দেশ ইরানের শাহেদ ড্রোনের অনুকরণে ড্রোন তৈরি করা শুরু করেছে, যা খুব ব্যয়বহুল না হলেও কার্যকরী এবং নির্ভুল।
বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন সংস্থা ইরানের শাহেদের আদলে সশস্ত্র মনুষ্যবিহীন আকাশযান (ইউএভি) তৈরি করছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা কম খরচে দীর্ঘ-পাল্লার অবিকল নকল অস্ত্র তৈরির প্রতিযোগিতা করছে।"প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই গ্রীষ্মে মার্কিন যুদ্ধ বিভাগ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ১৮ ধরনের মার্কিন তৈরি ড্রোনের প্রোটোটাইপের মধ্যে শাহেদের মতো মডেলগুলো বিশেষভাবে নজর কেড়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এই মডেলগুলোর মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে স্পেকটারওয়ার্কস এবং গ্রিফন অ্যারোস্পেস কোম্পানির নির্মিত লুকাস এবং অ্যারোহেড।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “শাহেদ এবং এর নকশাগুলো এতটাই বিস্তৃত হয়েছে যে, গ্রিফন এবং সুইডেনের সাব-এর মতো সংস্থাগুলোও ইরানের অস্ত্রের অনুরূপ লক্ষ্য-অনুশীলনের জন্য ইউএভি বিক্রি করছে।”
শাহেদ ড্রোন বিশ্বের অন্যতম উন্নত ইউএভি। এটি অত্যন্ত সাশ্রয়ী মূল্যে ব্যতিক্রমী পুনরুদ্ধার, নজরদারি এবং অপারেশনাল সক্ষমতা রাখে। বিপুল সংখ্যক মোতায়েন করা হলে এটি প্রতিপক্ষের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অক্ষম করতে পারে।
গত মে মাসে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকান অস্ত্র নির্মাতাদের উচ্চ ব্যয়ের সমালোচনা করার সময় ইরানের ড্রোনের কার্যকারিতা এবং সাশ্রয়ী মূল্যের প্রশংসা করেছিলেন।
তিনি ইরানের ৩৫,০০০ থেকে ৪০,০০০ ডলার উৎপাদন ব্যয়ের সাথে তুলনীয় মডেলগুলোর জন্য মার্কিন নির্মাতাদের ৪১ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ের বৈসাদৃশ্য তুলে ধরেন।ড্রোন প্রযুক্তিতে ইরানের ব্যাপক এবং দ্রুত অগ্রগতি এবং উচ্চ নির্ভুলতার সাথে ড্রোন যুদ্ধে দূরপাল্লার হামলা চালানোর ক্ষমতা পশ্চিম এশিয়ায় দেশটির ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তিকে দৃঢ় করেছে।বছরের পর বছর ধরে মার্কিন হুমকি এবং নিষেধাজ্ঞার মুখে সশস্ত্র বাহিনীকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে দেশীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বিস্তৃত পরিসর তৈরিতে ইরানের সামরিক বাহিনীর সাফল্যের মধ্যে অত্যাধুনিক ড্রোন কর্মসূচি অন্যতম।
ইরানের কর্মকর্তারা বারবার সতর্ক করে বলেছেন, দেশটি তার সামরিক সক্ষমতা জোরদার করতে দ্বিধা করবে না, যা সম্পূর্ণরূপে প্রতিরক্ষার উদ্দেশ্যে। সূত্র: মেহর নিউজ