
৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা পেলে অবশিষ্ট ৪৮ জিম্মির অর্ধেক মুক্তি দিতে প্রস্তুত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এমন প্রস্তাব দিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সোমবার এক সূত্রের বরাতে জেরুজালেম পোস্ট এ তথ্য জানিয়েছে।
তবে এ প্রস্তাব সম্বলিত চিঠি এখনো ট্রাম্পের কাছে পৌঁছায়নি। ফক্স নিউজের প্রধান বৈদেশিক সংবাদদাতা ট্রে ইয়িংস্ট জানিয়েছেন, কাতারের কাছে থাকা ওই চিঠি এ সপ্তাহের শেষদিকে ট্রাম্পের হাতে পৌঁছাতে পারে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, স্থায়ী যুদ্ধসমাপ্তি নিয়ে আলোচনা চলতে থাকলে যুদ্ধবিরতিও অব্যাহত থাকবে।
হামাসের এই প্রস্তাব এমন সময়ে এলো যখন ইসরাইল ‘গিডিয়ন্স চারিয়টস–টু’ অভিযানের মাধ্যমে গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। শহরটির প্রায় অর্ধেক জনগণ ইতিমধ্যে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
একই দিনে সৌদি গণমাধ্যম আল-আরাবিয়া জানায়, হামাসের কাছে আরও একটি প্রস্তাব পৌঁছেছে। এতে বলা হয়েছে, ১২ জিম্মি—যার মধ্যে ১০ জন জীবিত ও ২ জন মার্কিন জিম্মির লাশ—মুক্তির বিনিময়ে দুই মাসের যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে এ বিষয়ে এখনো হামাস বা ইসরাইলের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এই প্রস্তাব এমন সময়ে এসেছে যখন আগামী মাসেই ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার দুই বছর পূর্ণ হবে। সেদিন হামাসসহ অন্যান্য যোদ্ধা ও গাজার সাধারণ মানুষ দক্ষিণ ইসরাইলে হামলা চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে এবং শত শত মানুষকে অপহরণ করে। পাল্টা হামলায় প্রায় দুই বছর ধরে গাজায় নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। যাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।