Image description

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ১৯তম বিজ্ঞপ্তি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকাশের চেষ্টা করছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসি) বিধি সংশোধন হওয়ার পর দ্রুত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে৷ এছাড়া এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রশ্নের ধরণ আগের চেয়ে কঠিন করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রথম ধাপে এমসিকিউ পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা যাচাই করা হবে। এবার প্রশ্ন আগের তুলনায় কিছুটা কঠিন হতে পারে। কারণ, এই এক ধাপের মাধ্যমেই মৌখিক পরীক্ষার জন্য প্রার্থী বাছাই করা হবে। তাই আগের মতো সহজ প্রশ্ন করা হবে না। প্রকৃত মেধাবীদের বাছাই করতে প্রশ্নের ধরনেও পরিবর্তন আনা হতে পারে।

জানতে চাইলে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ১৯তম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দ্রুতই প্রকাশ করা হবে। বিধি সংশোধনের কাজ চলছে। এটি শেষ হওয়ার পর শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এরপর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

প্রশ্নের ধরণে পরিবর্তন আসছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আরও বলেন, এটি এখনই বলা যাবে না। বোর্ড সভায় আলোচনার পর এ বিষয়ে বলা যাবে।

নতুন নিয়োগ পদ্ধতিতে যেসব পরিবর্তন আসছে
নতুন নিয়োগ পদ্ধতিতে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি তিন বিভাগের জন্যই ২০০ নম্বরের পরীক্ষার প্রস্তাব করা হয়েছে। যদিও স্কুল-কলেজে এবং কারিগরিতে ১০০ নম্বর সাবজেক্টিভ এবং ১০০ নম্বর জেনারেল এবং মাদ্রাসারা জন্য ১৪০ নম্বর সাবজেক্টিভ এবং ৬০ নম্বর জেনারেল করা প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এভাবে বিভাজন করলে বৈষম্য তৈরি হতে পারে বলে মনে করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য তিন বিভাগের জন্য নম্বর প্যাটার্ন একই রকম রাখার চিন্তা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনায় অনেকে অনেক ধরনের প্রস্তাব করেছেন। স্কুল-কলেজে এবং কারিগরির জন্য একরকম। আবার মাদ্রাসার জন্য আরেকরকম। তিন বিভাগের জন্য পৃথক পদ্ধতি করা হলে এক প্রকার বৈষম্য করা হবে। সেজন্য আমরা তিন বিভাগের জন্য একই রকম পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে ভাবছি। সামনে এনটিআরসিএর বোর্ড সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ের সভায় এটি চূড়ান্ত করা হবে।’

জানা গেছে, এর আগে এনটিআরসিএর নিবন্ধন পরীক্ষায় কখনোই প্রার্থীদের ভাইভার নম্বর যুক্ত করা হয়নি। প্রথমবারের মতো ভাইভার নম্বর যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন বিধিমালায় ভাইভার নম্বর যুক্ত করা হবে। এ ব্যাপারে ইতিবাচক শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

এ বিষয়ে মাউশির এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বিসিএসসহ সব ধরনের চাকরির পরীক্ষায় ভাইভার নম্বর যুক্ত করা হয়। আমরাও এনটিআরসিএর নিয়োগ পরীক্ষায় ভাইভার নম্বর যুক্ত করার মতামত দিয়েছি। ভাইভার নম্বর যুক্ত না হলে প্রার্থীদের প্রকৃত মেধা যাচাই করা সম্ভব হবে না। আশা করছি আমাদের মতামত শিক্ষা মন্ত্রণালয় গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে।