Image description

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০টি আসনে ছাড় দিতে জামায়াতে ইসলামী বিএনপির কাছে প্রস্তাব করেছিল বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সেই প্রস্তাবে সম্মত না হওয়ায় জামায়াত এখন পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি তুলে বিএনপির ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলেও দাবি করেন তিনি।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক ‘এই সময়’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। গতকাল সোমবার এ সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়।

জামায়াত ৫০টি আসন চেয়েছে কি না—ওই সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৩০টি চেয়েছে। আমরা উৎসাহ দেখাইনি। অনেক কম একটা সংখ্যার কথা বলেছি, যা তাদের মনঃপূত হয়নি।

 

পত্রিকাটির সাংবাদিক অনমিত্র চট্টোপাধ্যায় এ সাক্ষাৎকার নেন। তার উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনাকে আশ্বাস দিচ্ছি, জামায়াতকে আর আমরা মাথায় উঠতে দেবো না। তারা যত বড় না শক্তি, আমরা অকারণে তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। পিআর-টিআর সবই বিএনপির ওপরে চাপ সৃষ্টির কৌশল।

‘জামায়াত কিন্তু নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছে। আসলে দেশের মানুষ প্রবলভাবেই নির্বাচন চাইছেন। সেনাবাহিনী চাইছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসও চাইছেন।’

পিআর পদ্ধতির ভোট নিয়ে জামায়াতের দাবি প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জামায়াত ভোটে আসবে। পিআর-টিআর নয়, মানুষ যে পদ্ধতিতে ভোট বোঝেন, সেই প্রচলিত পদ্ধতিতেই বাংলাদেশের ভোট হবে। জামায়াতও দেখবেন অংশ নেবে। আর এনসিপিকে আমরা কোনো শক্তি বলেই আর মনে করি না। এটি ঠিক এই ছাত্ররাই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের বারুদে আগুনটা দিয়েছিল। এখন আর তাদের কিছু নেই। ডাকলে লোকও আসে না।

 

এনসিপিও বিএনপি কাছে আসন চেয়েছিল কি না, এ প্রশ্নে তিনি বলেন, না। এনসিপি কখনো চায়নি। তবে জামায়াত চেয়েছে। এনসিপির এখন একমাত্র লক্ষ্য, বিএনপিকে সরকার গঠন করতে না দেওয়া।