
সৌদি আরবের আকাশপথ ব্যবহার করে কাতারের রাজধানী দোহায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। খবর প্রেসটিভি
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মার্কিন এই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দোহায় হামলা চালাতে আটটি এফ-১৫ এবং চারটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা হয়। এসব বিমান ব্যবহার করে ১৫০০ কিলোমিটার দূর থেকে সৌদির আকাশসীমার ওপর দিয়ে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে আরও বলা হয় হামলার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দোহায় হামলা চালানোর ক্ষেত্রে ইসরায়েলি বিমানগুলো কৌশল অবলম্বন করেছে। সৌদি আরব যেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আকাশসীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগ না আনতে পারে এজন্য লোহিত সাগর দিয়ে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়, যা সৌদি আরবের আকাশসীমা দিয়েই দোহায় গিয়ে আঘাত হানে।
মার্কিন একাধিক কর্মকর্তা জানান, হামলা চালানোর কিছু আগে ইসরায়েল বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করে। এক্ষেত্রে তারা হামলার লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কে কিছু জানায়নি। তবে মার্কিন মহাকাশভিত্তিক সেন্সরের মাধ্যমে ক্ষেপণান্ত্রের গতিপথ শনাক্ত করা হয় ওয়াশিংটনে। ফলে এই হামলা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সময়ও পাওয়া যায়নি এবং ট্রাম্প হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিক জানতে পারেননি।
গত মঙ্গলবার দোহায় একটি আবাসিক ভবনে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া একটি প্রস্তাবের বিষয়ে আলোচনার জন্য জড়ো হয়েছিলেন হামাসের সিনিয়র নেতারা। বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে হামলা হালায় ইসরায়েল। এতে হামাসের পাঁচজন এবং কাতারে নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্য নিহত হন।
এ ঘটনায় পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। তার পরও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হামাসকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে অন্য দেশেও হামলা চালাবে তেল আবিব।