
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ী হয়েছে জুলাই প্রজন্ম এবং শহীদদের আকাঙ্ক্ষা—এমন মন্তব্য করেছেন নবনির্বাচিত সহসভাপতি (ভিপি) আবু সাদিক কায়েম।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয় সংলগ্ন লাউঞ্জে কার্যনির্বাহী কমিটির এই প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমরা যারা নির্বাচিত হয়েছি, সবাই শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি। শিক্ষার্থীদের কাজ আমাদের প্রশ্ন করা, আর আমাদের দায়িত্ব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা।
তিনি আরও জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর যে কোনো সমস্যা সামনে এলে তার সমাধানে তারা প্রস্তুত। তিনি বলেন, নির্বাচনের পর থেকে আমরা সবার কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি। আমরা মনে করি, এখানে আসলে কারও ব্যক্তিগত জয় বা পরাজয় নেই। ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ী হয়েছে জুলাই প্রজন্ম, বিজয়ী হয়েছে শহীদদের আকাঙ্ক্ষা।
সাদিক কায়েম জানান, তারা এরই মধ্যে সাবেক নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করেছেন এবং শিগগির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও মতামত সংগ্রহ শুরু করবেন। শিগগির মাসভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
ডাকসুর নির্বাচিত জিএস এস এম ফরহাদ বলেন, আজ প্রথম ওয়ার্কিং ডে। প্রথম দিনেই গঠনতান্ত্রিক নিয়ম মেনে পরিচিতি সভা ও কার্যক্রম শুরু করেছি। আমরা যে যে-ই মতেরই হই না কেন, শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে সবার ভয়েস তুলতে চাই।
তিনি জানান, অল্প সময়ের মধ্যে সপ্তাহ ও মাসভিত্তিক এক্সিকিউটিভ প্ল্যান গ্রহণ করা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে পাঁচজনকে বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে পাঠানোর বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
এসময় তিনি যে ৫ জন ডাকসু নেতা সিনেট সদস্য হচ্ছে তাদের নাম বলেন। তারা হলেন—ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম, জিএস এস এম ফরহাদ, এজিএস মহিউদ্দীন খান, সদস্যদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া সাবিকুন্নাহার তামান্না ও পরিবহন সম্পাদক আসিফ আবদুল্লাহ।
ফরহাদ বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে থেকে পাঁচজনকে সিনেটে পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্যাজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে দায়িত্ব পালনের সময় কোন বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে, তা নিয়েও দীর্ঘ আলোচনা হয়।