Image description

সৌদি আরব, তুরস্ক এবং ইরাকসহ আঞ্চলিক দেশগুলো ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক জোট গঠন করতে ব্যর্থ হলে ইসরাইলি আগ্রাসনের মুখোমুখি হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে বলে সতর্ক করেছেন ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) সাবেক প্রধান মোহসেন রেজাই।

মোহসেন রেজাই শনিবার এক্স পোস্টে এই মন্তব্য করেছেন। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন যে রবিবার কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া একটি অসাধারণ ইসলামিক-আরব শীর্ষ সম্মেলনে এই ধরনের আগ্রাসনের সম্ভাবনা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত।

“যদি শীর্ষ সম্মেলন পাঁচটি মুসলিম দেশের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী সরকারের আগ্রাসন এবং গাজায় গণহত্যার প্রতিক্রিয়ায় বাস্তব পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সৌদি আরব, তুরস্ক এবং ইরাকেরও এই সরকারের যুদ্ধবিমান এবং বোমা হামলার আশা করা উচিত,” তিনি লিখেছেন।

ইসলামি বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনির উপদেষ্টা, এক্সপিডিয়েন্সি ডিসকার্নমেন্ট কাউন্সিলের সদস্য রেজাই লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন, ইরান এবং সম্প্রতি কাতারে সরকারের হামলার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এই অঞ্চলের প্রতিটি দেশের বিরুদ্ধে একের পর এক পদক্ষেপ নেওয়ার আগে, এর মোকাবিলা করার জন্য একটি সামরিক জোট গঠন করতে হবে।”

ইসরায়েলি সংবাদপত্র হারেৎজ একটি মতামত নিবন্ধে সতর্ক করে দেয়ার পর তার এ মন্তব্য এসেছে। সংবাদপত্রটি জানায়, পারস্য উপসাগরীয় দেশটিতে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে কাতারের উপর সাম্প্রতিক বিমান হামলার পর, সরকার তুরস্কের বিরুদ্ধে একটি নতুন ফ্রন্ট খুলতে পারে এমন সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে, এই পদক্ষেপ “বিপর্যয়কর” পরিণতি বহন করতে পারে বলে বর্ণনা করা হয়েছে ওই নিবন্ধে এবং বিশ্লেষকদের উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, আঙ্কারার সঙ্গে যে কোনো সংঘর্ষ জড়ানো দোহার ওপর হামলার চেয়ে অনেক বেশি বিপজ্জনক হবে।

একই প্রেক্ষাপটে টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, তেল আবিব পূর্বে “ন্যাটোর কারণে” তুরস্কের মাটিতে একই ধরনের অভিযান পরিচালনা স্থগিত করে। এর পরিবর্তে কাতারকে বিকল্প লক্ষ্য হিসেবে বেছে নেয় তেল আবিব।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ইরানের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা আলী লারিজানিও রেজাইয়ের মতোই একটি সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি শাসনের উন্মাদনা বন্ধ করার জন্য মুসলিম দেশগুলোকে একটি যৌথ অভিযান সদর দপ্তর গঠন করতে হবে।’
সূত্র: প্রেস টিভি