Image description

গাজায় চলমান যুদ্ধের অবসান এবং একটি দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে নতুন কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়েছে মিশর, কাতার ও তুরস্ক। এই তিন দেশের মধ্যস্থতায় একটি সমন্বিত প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে, যা প্রথম ধাপে হামাসের কাছে উপস্থাপন করা হবে।

মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের বরাতে মিডেল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রস্তাবটির মূল উদ্দেশ্য হলো গাজার শহর দখলের জন্য ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গাজা শহর দখলের অজুহাত দূর করা।

সূত্র অনুযায়ী, হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর গাজা শাখার জ্যেষ্ঠ সদস্য খালিল আল-হায়্যা খুব শিগগিরই মিশরের রাজধানী কায়রোতে মিশরীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। বৈঠকে নতুন প্রস্তাবের খুঁটিনাটি বিষয়, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এবং সম্ভাব্য শর্তাবলী নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

প্রস্তাবের বিবরণে বলা হয়, এই উদ্যোগটি একটি বিস্তৃত বিনিময় চুক্তির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, যার মধ্যে রয়েছে সমস্ত জীবিত ইসরাইলি বন্দীদের মুক্তি এবং আটককৃতদের মৃতদেহ ফেরত দেওয়া, বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তির বিনিময়ে।

এতে হামাসের অস্ত্র ও শাসনব্যবস্থার বিষয়ে চূড়ান্ত সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত আরব-মার্কিন তত্ত্বাবধানে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর জন্য একটি নতুন মোতায়েনের মানচিত্র হামাসের গ্রহণযোগ্যতাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

হামাস যদি এই প্রস্তাবে সম্মতি জানায়, তাহলে তা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরাইলের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। আশা করা হচ্ছে, প্রস্তাবটি আলোচনার মাধ্যমে দুই পক্ষের মধ্যে একটি কার্যকর যুদ্ধবিরতি এবং গাজায় মানবিক সহায়তার পথ সুগম করতে সহায়তা করবে। তবে চূড়ান্ত সমাধানে পৌঁছাতে ইসরাইল ও হামাস উভয়ের রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং আস্থার পরিবেশ নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।