
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে কর্মরত পাকিস্তানি কূটনীতিকরা ক্রমবর্ধমান হয়রানির শিকার হচ্ছেন। কমপক্ষে চারজন কূটনীতিক তাদের ভাড়া করা বাসার চুক্তি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বাড়িওয়ালা তাদেরকে বাসা খালি করার নোটিশ দিয়েছেন। মঙ্গলবার এ খবর দিয়েছে জিও নিউজ। কূটনৈতিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, পাকিস্তানি কূটনীতিকদের উপর ক্রমাগত নজরদারি চালানো হচ্ছে। সময়ে সময়ে তাদের গ্যাস ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।
এছাড়া ১৭ জন কর্মকর্তা ও কূটনীতিকের ভিসা নবায়নের আবেদন তিন থেকে পাঁচ মাস আগে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও এখনো অনুমোদন মেলেনি। এছাড়া নয়াদিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনের পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দেড় মাস ধরে ভারতীয় সংবাদপত্র সরবরাহও বন্ধ রয়েছে। পাকিস্তান হাইকমিশন বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে।
এই হয়রানির ঘটনাগুলো ঘটছে এমন সময়ে, যখন এ বছর মে মাসে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সংক্ষিপ্ত সশস্ত্র সংঘাতের পর দুই দেশের সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সংঘাতের সূত্রপাত হয় যখন ভারত, কাশ্মীরের পেহেলগাম হামলায় অভিযুক্ত জঙ্গিদের টার্গেট করার দাবি তুলে, পাকিস্তানে সীমান্ত পেরিয়ে হামলা চালায়। ভারতের হামলার জবাবে পাকিস্তান অপারেশন বুনিয়ান-উম-মারসুস চালায় এবং তিনটি রাফাল সহ ভারতীয় ছয়টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে। টানা ৮৭ ঘণ্টার সংঘাতে দুই দেশের পক্ষ থেকেই সীমান্ত অতিক্রম করে হামলা হয়। এতে পাকিস্তানে ৪০ জন বেসামরিক নাগরিক ও ১৩ জন সেনা সদস্য শহীদ হন। এছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধুর পানি চুক্তি স্থগিত করার ঘোষণা দেয়।