
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে গাজা সিটি সম্পূর্ণ ধ্বংস এবং পশ্চিম তীর দখলের অনুমতি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রখ্যাত ফিলিস্তিনি রাজনীতিবিদ ও প্যালেস্টাইন ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভের মহাসচিব মুস্তাফা বারঘুতি।
বারঘুতি বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী শাসনামলের মতো নৃশংসতা চালানোর পরও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা প্রতিরোধ করে চলেছে।’
তিনি বলেন, ‘জার্মানি ইসরায়েলকে সামরিক সরঞ্জাম পাঠানো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, স্পেন ইসরায়েলে অস্ত্র পরিবহন বন্ধ করেছে অথবা নরওয়ে ইসরায়েল থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করেছে—এসব কিছু পরিবর্তন আমরা দেখতে শুরু করেছি। কিন্তু এটা যথেষ্ট নয়। আমাদের দরকার দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী শাসনের বিরুদ্ধে যেমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, তেমন প্রকৃত নিষেধাজ্ঞা। ইসরায়েল যে অপরাধগুলো করছে, তা দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়েও অনেক বেশি ভয়াবহ।’
বারঘুতি আরও বলেন, ‘বিশ্বের প্রতিটি দেশ ও নাগরিক সমাজকে এখনই ইসরায়েল সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে, তাদের এই নৃশংসতা বন্ধ করতে বাধ্য করতে হবে। আমরা ইতিমধ্যে গণহত্যা দেখেছি, কিন্তু আমরা চাই না যে গাজায় প্রতিটি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হোক।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় শান্তি চান না এবং ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ যুদ্ধবিরতি আলোচনাকে দুর্বল করার চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি, ওয়াশিংটন ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে।
বারঘুতি বলেন, ‘ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর কখনো ‘ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র’ শব্দটি উচ্চারণ করেননি। এটি স্পষ্ট যে, তিনি ইসরায়েলকে শুধু গাজায় গণহত্যা চালানো বা গাজা সিটি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে সেখানকার জনগণকে জাতিগতভাবে উৎখাত করারই অনুমতি দিচ্ছেন না, বরং পশ্চিম তীর দখলেরও সবুজ সংকেত দিচ্ছেন।’
সূত্র: আল-জাজিরা