
গাজায় চলমান বিধ্বংসী যুদ্ধের অবসানে মঙ্গলবার হামাসকে নিরস্ত্র হওয়ার ও গাজা শাসন থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে কাতার, সৌদি আরব, মিসরসহ একাধিক আরবদেশ।
জাতিসংঘে আয়োজিত একটি সম্মেলনে মঙ্গলবার ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ‘দুই রাষ্ট্র সমাধান’ পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে গৃহীত সাত পৃষ্ঠার একটি ঘোষণাপত্রে ১৭টি দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব লীগ এ আহ্বান জানায়। ঘোষণাপত্রে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েলে চালানো প্রাণঘাতী হামলারও নিন্দা জানানো হয়েছে। তবে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘটনার নিন্দা জানায়নি।
ঘোষণাপত্রে বলা হয়, ‘গাজায় যুদ্ধের অবসানের প্রেক্ষিতে হামাসকে গাজা শাসন ছেড়ে দিতে হবে ও তাদের অস্ত্র ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সমর্থনের মাধ্যমে একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ পদক্ষেপ নিতে হবে।’
এর আগে সোমবার জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি দল আহ্বান জানায়, ইসরায়েল ও হামাস উভয়কেই গাজা ত্যাগ করতে হবে, যাতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ উপকূলবর্তী এ অঞ্চলটির প্রশাসন পরিচালনার দায়িত্ব নিতে পারে।
সৌদি আরবের সঙ্গে যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজক ফ্রান্স ঘোষণাটিকে ‘ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন’ বলে অভিহিত করেছে।
জাতিসংঘের সদর দপ্তর নিউইয়র্কে আয়োজিত ওই সম্মেলনের পর দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্সসহ আরো ১৪টি পশ্চিমা দেশ। এ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের দীর্ঘস্থায়ী শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খোঁজা, যেখানে দুটি রাষ্ট্র পারস্পরিক সহাবস্থান নিশ্চিত করতে পারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ফ্রান্স ও ইউরোপীয় দেশগুলোর এ পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চে ফিলিস্তিন ইস্যুতে নতুন গতি সঞ্চার করতে পারে।
তবে ইসরায়েল ও তার প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র এ সম্মেলনে অংশ নেয়নি।