
কুমিল্লার মুরাদনগরে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ৬ সাংবাদিকের ওপর হামলা করা হয়। বুধবার (৩০ জুলাই) বিকালে উপজেলা সদরের আল্লাহু চত্ত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় একটি মোবাইল ৩টি ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানায়, হামলার নেতৃত্ব দেওয়া শুক্কুর আলী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
হামলায় আহতরা হলেন—দৈনিক খোলা কাগজের কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি শাহ ইমরান, স্টার নিউজের কুমিল্লা প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মারুফ, বার্তা২৪-এর কুমিল্লা প্রতিনিধি মঈন নাসের খাঁন রাফি, দৈনিক পুর্বাশার প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান মুন্না, এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি মাহফুজ আনোয়ার সৌরভ, এসএ টিভির ক্যামেরাম্যান মো. বাপ্পি।
বৃহস্পতিবার হামলাকারীর পরিচয় সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। হামলার নেতৃত্বদানকারী শুক্কুর আলী উপজেলার রহিমপুর গ্রামের মফিজ মিয়ার ছেলে। তিনি বিগত দিনে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
পুলিশ এবং ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা জানায়, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া এবং তার বাবা প্রধান শিক্ষক বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বুধবার বিকালে ছাত্র-জনতার ব্যানারে মিছিলটি উপজেলা সদরের আল্লাহু চত্ত্বরে পৌঁছলে প্রতিপক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা করা হয়।
হামলার শিকার খোলা কাগজের সাংবাদিক শাহ ইমরান বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আমাদেরকে টার্গেট করে হামলা চালানো হয়েছে। আমরা হামলার নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী শুক্কুর আলীর নাম পরিচয় পেয়েছি।
আহত সাংবাদিক হাবিবুর রহমান মুন্না বলেন, আমরা হামলার ছবি এবং ফুটেজ সংগ্রহ করার কারণে তারা আমাদের উপর হামলা চালায়। আমরা এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ওমর ফারুকী তাপস বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হামলা কাপুরুষের কাজ। সাংবাদিকরা কোনো পক্ষ নয়, কেন তাদের উপর হামলা করা হলো? এ ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এনামুল হক ফারুক বলেন, গণমাধ্যম কর্মীদের উপর হামলা কোনভাবেই কাম্য নয়। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ করছি।
মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, সাংবাদিকদের উপর হামলার বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। হামলাকারীদের ছবি এবং ভিডিও আমাদের হাতে এসেছে। হামলার নেতৃত্বদানকারীর অতীতের কিছু ছবি আমাদের হাতে এসেছে। সেখানে আওয়ামী লীগের এমপিদের সঙ্গে তার ছবি পাওয়া গেছে।