
সামনেই বিধানসভার ভোট। তার আগে বিহারে খোঁজ মিলছে না প্রায় ৭৩ লাখ ভোটারের। আর এই ভোটারদের খুঁজতে গিয়ে নাজেহাল নির্বাচন কমিশনও।
পয়লা আগস্ট একটি খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে। কিন্তু সেই তালিকায় সম্ভবত ঠাঁই পাবেন না বিহারের ৭৩ লাখ ভোটার। কোথায় গেল তারা? নাম কি বাদ দিয়ে দিল কমিশন? না। এই ৭৩ লাখ ভোটারের নাম নিজে থেকে বাদ দিতে মরিয়া হয়নি কমিশন। বরং এদের খোঁজ পাচ্ছে না তারা।
বিহারের ২৬১টি নগর স্থানীয় সংস্থার ৫ হাজার ৬৮৩টি ওয়ার্ডে এই বিষয়ে বিশেষ শিবিরও স্থাপন করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ১.৫৯ শতাংশ ভোটারকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। ২.২ শতাংশকে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত করা হয়েছে এবং ৪.৫৩ শতাংশ ভোটারকে তাদের ঠিকানায় পাওয়া যায়নি।
এরইমধ্যে বিহারের মূল ১২টি রাজনৈতিক দলকে ২৯ লাখ ভোটারের একটি তালিকা পাঠিয়েছে কমিশন।
এই ২৯ লাখ ভোটার তাদের গণনা পত্র যার ভিত্তিতে পরিচয় যাচাইয়ের মাধ্যমে তাদের খসড়া তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তা এখনও জমা দেয়নি। এদিকে সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। তাই এই ভোটারদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর জেলা সভাপতি ও কর্মীদের মাধ্যমে দেখা করার আর্জি জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি তারা এও বলেছে, এই কাজে দেড় লক্ষ বিএলএ বা বুথ লেভেল এজেন্টরাও তাদের সহায়তা করবে।
বাকি ৪৩ লাখ ৯৩ হাজার ভোটার নিয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই ৪৩ ভোটারের দেওয়া ভোট বাড়ির ঠিকানায় গিয়েও তাদের হদিশ পায়নি বুথ লেভেল অফিসাররা। তারা যে আদৌ কোথায় রয়েছে, সেই নিয়েও কোনও তথ্য মেলেনি। ফলত, সময়ের মধ্যে এই ভোটারদের খোঁজ না মিললে বাধ্য হয়েই তাদের নামও বাদ দিতে হবে।