Image description
 

চীনের কাছ থেকে অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হাতে পেয়েছে ইরান। মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, ইসরাইলের সঙ্গে সাময়িক যুদ্ধবিরতির সুযোগে নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ঢেলে সাজাচ্ছে তেহরান। এর অংশ হিসেবে ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সংগ্রহ করেছে দেশটি। এর বিনিময়ে চীনকে বিপুল পরিমাণে তেল সরবরাহ করেছে ইরান।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, চীনের অন্যতম কার্যকর ও শক্তিশালী সমরাস্ত্র হিসেবে পরিচিত এইচ কিউ-৯ (HQ-9) মিসাইল সিস্টেম ইতোমধ্যে ইরানের হাতে পৌঁছেছে। রুশ প্রযুক্তি ভিত্তিক এস-৩০০’র আদলে নির্মিত এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি ২০০১ সাল থেকে চীনের সামরিক বাহিনীতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, HQ-9 এর সর্বোচ্চ পাল্লা প্রায় ৩০০ কিলোমিটার এবং প্রতিটি মিসাইলে প্রায় ১৮০ কেজি বিস্ফোরক বহন করা সম্ভব। মিডল ইস্ট আইসহ একাধিক গণমাধ্যম জানায়, ইসরাইলের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘর্ষের পর বর্তমানে যুদ্ধবিরতিতে রয়েছে ইরান। এই ফাঁকে দেশের আকাশ প্রতিরক্ষাকে আরও শক্তিশালী করতে উঠেপড়ে লেগেছে তেহরান।

 

ইসরাইলের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষার দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ইসরাইল সফলভাবে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালায়। এরপরই ইরান নিজেদের প্রতিরক্ষা কাঠামোতে বড় পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়।

 

জ্বালানি রপ্তানির মাধ্যমে চীন থেকে এসব সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহ করছে তেহরান—এমন দাবিও তুলেছে একাধিক সংবাদমাধ্যম। এমনকি এর আগেও চীনের কাছ থেকে আধুনিক ফাইটার জেট সংগ্রহ করেছে ইরান, এমন খবরও সামনে এসেছে। হোয়াইট হাউস এ সংক্রান্ত তথ্য সম্পর্কে অবগত আছে বলেও দাবি করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনগুলোতে।

মধ্যপ্রাচ্যে প্রতিরক্ষা ভারসাম্যে এই চুক্তি নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।