
বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা সামনে বড় বড কথা বলে, কিন্তু ভেতরে ভেতরে ইন্টারনাল নেগোসিয়েশন চলে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, রাজনীতিবিদরা একে নিয়ে, ওকে নিয়ে অনেক বড় কথা বলে কিন্তু ভেতরে ভেতরে একসাথে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালায়। আমরা কখনো লড়াইয়ে স্লো হয়ে গেলে দেখা যায় পুরাতন এস্টাবলিশমেন্ট ঐক্যবদ্ধ ভাবে ভাগ-বাঁটোয়ারার পার্সেন্টেজ চেঞ্জ করে। কিন্তু চাদাবাজি, সিন্ডিকেট, দখলদারিত্ব সব আগের মতোই চলে।
বুধবার (৯ জুলাই) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত জুলাই পদযাত্রা ও পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, তাসনীম জারা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এনসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরাই আমাদের প্রধান অনুপ্রেরণা ও শক্তি। সম্মিলিত লড়াইয়ের মাধ্যমেই আমরা গণঅভ্যুত্থান সফল করতে পেরেছি। আমরা গণঅভ্যুত্থানকে শুধু রেজিম চেঞ্জ হিসেবে দেখি না। আমাদের বিশ্বাস, এই আন্দোলনের মাধ্যমে মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে, রাষ্ট্রের কাঠামোয় সংস্কার হবে। এই অভ্যুত্থানের প্রধান বৈধতা বা লেজিটিমেসি এসেছে ছাত্রদের কাছ থেকেই।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, হলের একটি সিটের বিনিময়ে বা ভালো রেজাল্টের বিনিময়ে আপনারা নিজেদের মেরুদন্ড বিক্রি করে দিয়েন না। আমরা দ্বিমত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করবো। সবাই আমার সাথে একমত হবে এটা মুখ্য না। যারা নেকাব করে তাদের স্বাধীনতা যেমন থাকবে, যারা করতে চাইবে মা তাদের স্বাধীনতাও থাকবে। জুলাই সনদ কোন কবিতা না, এটা আমাদের পরবর্তীতে বাঁচার সনদ। জুলাই সনদ না দিলে আমাদের পেছনে ফেরার কোন জায়গা থাকবে না। আগামী ৩ আগস্ট আমরা আবারও কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জুলাই সনদের জন্য মিলিত হবো।