Image description

ইরানি মিসাইল বৃষ্টিতে কার্যত ফিলিস্তিনে রূপ নিয়েছে ইসরায়েল। এমন আঘাতের কথা কল্পনাও করতে পারেনি তেলআবিব। এরই মধ্যে সামনে এলো আরও বড় চাঞ্চল্যকর তথ্য, যা প্রকাশ করেছে ইরান নিজেই। দাবি করা হয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়তে এবার ইরানের পাশে দাঁড়াচ্ছে তুরস্ক, সৌদি আরব ও পাকিস্তান।

রবিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন দেশটির সাবেক জ্যেষ্ঠ সামরিক কমান্ডার এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য মহসেন রেজাই। তিনি বলেন, “এই তিন দেশের নাগরিকদের সমন্বয়ে গঠিত হবে এক সম্মিলিত ইসলামিক সেনাবাহিনী। এতে আরও মুসলিম দেশের জনগণ যুক্ত হবে।”

তিনি আরও জানান, “ইসরায়েল যদি পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে ইরানে আঘাত হানে, তাহলে পাকিস্তানও পাল্টা আঘাতে পারমাণবিক বোমা ছুড়বে তেলআবিবে। ইতোমধ্যে পাকিস্তান এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।” তার মতে, ইসলামাবাদ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে যে, ইরানের উপর পরমাণু হামলা চালানো হলে তারা চুপ থাকবে না।

 

তবে এই দাবিকে ‘অতিরঞ্জিত’ বলে আখ্যা দিয়ে অস্বীকার করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। তবুও মহসেন রেজাই সাক্ষাৎকারে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য দিয়ে বলেন, “ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এখনো পুরনো প্রজন্মের অস্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে। আমাদের আধুনিক, ভয়াবহ ক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র এখনো ব্যবহার করা হয়নি। যদি তা করি, ইসরায়েল সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে।”

 

তিনি সতর্ক করেন, “যুদ্ধ শেষ হবে তখনই, যখন দখলদার বাহিনীর পুরো সত্তা নিশ্চিহ্ন হবে। এখনো পর্যন্ত ইরান সংযম দেখিয়েছে। ১.৫ টনের ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হলেও এতে সবচেয়ে শক্তিশালী বিস্ফোরক সংযুক্ত করা হয়নি।”

রেজাই বলেন, “বর্তমান যুদ্ধকে ইরান তাদের অস্তিত্বের লড়াই হিসেবে দেখছে। তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইতোমধ্যেই ইসরায়েলের শহরগুলো একের পর এক ধ্বংস হচ্ছে। প্রাণ হারিয়েছেন বহু ইসরায়েলি। ধ্বংস হয়েছে কৌশলগত স্থাপনাও।”

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এ যুদ্ধ থামবে না—যতক্ষণ না ইসরায়েল ধ্বংস হয়।”