
মধ্যপ্রাচ্যের যেকোনো সংঘাতে বাংলাদেশে প্রভাব পড়ে বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক শাফকাত মুনীর। বলেছেন, বিশাল বাংলাদেশি জনগোষ্ঠী মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত। ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ ঘিরে যদি মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে সেখানকার বাংলাদেশিদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের এখনই আমলে নিতে হবে।
বাংলাদেশ রিসার্চ অব পিচ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো শাফকাত মুনীর মানবজমিনকে বলেন, অতীতে ইরাক বা সিরিয়া যুদ্ধে আমরা কিন্তু সেখানকার অবস্থানরত বাংলাদেশিদের তেমন কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিতে পারিনি। বাংলাদেশে বর্তমানে নাজুক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিরাজমান। দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি চলবে নিজস্ব গতিতে এজন্য ভূ-রাজনীতি থেকে সরকারের দৃষ্টি সরালে চলবে না জানিয়ে শাফকাত মুনীর বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিশ্ব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পদক্ষেপ নিতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত হলে আমাদের দুটি সংকট সৃষ্টি হবে একটি হলো অর্থনৈতিক সংকট আর অন্যটি হচ্ছে জ্বালানি সংকট। মধ্যপ্রাচ্যে বড় কোনো যুদ্ধ হলে তা শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না এটা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের একটি বিশাল জনগোষ্ঠী মধ্যপ্রাচ্যে বা উপসাগরীয় অঞ্চলে বসবাসরত। জ্বালানি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমরা অনেকাংশেই মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল। মধ্যপ্রাচ্যে যখন কোনো সংঘাত হয় তখন সরাসরি তা বাংলাদেশে প্রভাব ফেলে। ইরান-ইসরাইল যুদ্ধের ফলে গ্লোবাল শিপিং বা জাহাজের মাধ্যমে সমুদ্র পথে পণ্য আনা নেয়ার যে ব্যবস্থা তা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হবে। গ্লোবাল শিপিং যদি ব্যাহত হয় তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য এটি একটি বড় ধাক্কা। আমাদের অর্থনীতি নাজুক অবস্থায় আছে। এমন অবস্থায় যদি জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পায় তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আরও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।