Image description

মক্কায় পবিত্র হজ পালন করতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিদের আগমন শুরু হওয়ার প্রেক্ষাপটে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তা জারি করেছে। মন্ত্রণালয় পবিত্র স্থানসমূহের করিডোর, গলিপথ এবং প্রাঙ্গণে ঘুমানো বা শোয়াকে কঠোরভাবে নিরুৎসাহিত করেছে।  রোববার এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নির্ধারিত স্থানসমূহে অবস্থান করলে চলাচল আরও সহজ হয় এবং হজের ব্যস্ততম সময়ে বিপদের সম্ভাবনা কমে যায়। তারা আরও উল্লেখ করেছে, জনাকীর্ণ এলাকায় শুয়ে পড়লে তা জনসাধারণের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে এবং জরুরি সেবাদানকারী দলগুলোর দ্রুত সাড়া দেয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। এ কারণে মুসল্লিদের কেবলমাত্র নির্ধারিত তাঁবু বা হোটেল আবাসনে বিশ্রাম নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এ খবর দিয়েছে অনলাইন এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, এই আচরণ (অর্থাৎ, করিডোরে শোয়া) ভিড় বাড়িয়ে জননিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে। এ বছর হজ পালিত হবে ৪ঠা জুন থেকে ৯ই জুনের মধ্যে। তবে তা চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। ইতিমধ্যেই বিশ্ব জুড়ে মুসলিমদের আগমন শুরু হয়েছে। হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালের হজে আগত মুসল্লির সংখ্যা ২৫ লাখেরও বেশি হতে পারে। এ সংখ্যা সাম্প্রতিক বছরগুলোর তুলনায় একটি নতুন রেকর্ড গড়বে। এ বছরের হজের সময় তীব্র গরম থাকতে পারে। মুসল্লিদের সহায়তা করতে সৌদি সরকার চালু করেছে ছয় ভাষায় একটি ইলেকট্রনিক হজ গাইডÑ  ‘স্মার্ট বুক অব হজ রিচুয়ালস’। এটি আরবি, ইংরেজি, ফরাসি, উর্দু, মালয়ালম এবং তুর্কি ভাষায় করা হয়েছে।

এই গাইডটি মসজিদের ইলেকট্রনিক লাইব্রেরিতে এবং সৌদিয়ার বিমানে পাওয়া যাবে। এদিকে পাকিস্তান গত মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে হজ ফ্লাইট কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রথম ফ্লাইটে ৪৪২ জন মুসল্লি ইসলামাবাদ থেকে মদিনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ-এর আওতায়। ৩৩ দিনব্যাপী এই কার্যক্রমে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রায় ৮৯,০০০ মুসল্লি হজে অংশ নেবেন। মোট ৩৪২টি ফ্লাইট নির্ধারিত হয়েছে, যার শেষ ফ্লাইট ৩১শে মে রওনা দেবে। সরকারি স্কিম ছাড়াও আরও ২৩,৬২০ পাকিস্তানি মুসল্লি বেসরকারি ট্যুর অপারেটরের মাধ্যমে হজ পালন করবেন। প্রায় ৫০,৫০০ পাকিস্তানি মুসল্লি ‘মক্কা রুট’ সুবিধা পাবেন, যার মাধ্যমে নিজ নিজ দেশে বিমানবন্দরে আগেই ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।