
দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা এক নাটকীয় মোড় নিল। এটা মনেই করা হচ্ছিল যে, ভারত কোনও সামরিক জবাব দেবে, তবে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে যেভাবে ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ হয়েছে, তাতে অনেকেই বিস্মিত।
ভারত দাবি করছে, যেসব স্থাপনায় আক্রমণ করেছে তারা, সেখানে ‘সন্ত্রাসী’দের অবস্থান ছিল এবং তারা পাকিস্তানের কোনও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায় নি।
পাকিস্তানও জবাব দেওয়ার সঙ্কল্প নিয়েছে, তবে দিল্লি কীভাবে পাল্টা জবাব দেয়, তার ওপরেই নির্ভর করবে পাকিস্তানের হামলা এবং লক্ষ্যবস্তু।
দুই দেশই মনে করছে যে তারা এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে, তবে সামরিক সংঘাত কোন দিকে যাবে, তা ধারণা করা কঠিন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বেশ কয়েকটি দেশ ভারত আর পাকিস্তান - দুই দেশকেই শান্ত করার চেষ্টা করেছে। তবে এটা দেখার বিষয় যে ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বের নানা বিষয়ে জড়িয়ে থাকার মধ্যেই ভারত -পাকিস্তানের মধ্যে এই উত্তেজনা প্রশমনে কতটা এগিয়ে আসে।
ভারত আর পাকিস্তান – দুই দেশের রাজনীতিবিদরাই তাদের নিজেদের জনগণকে দেখানোর চেষ্টা করবেন যে তারা চিন্তাভাবনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং নিজেরাই যে জয়ী হয়েছেন, সেটাও প্রমাণ করার চেষ্টা করবেন।
তবে তারা একটা বিরাট বড় ঝুঁকি নিলেন।
- আনবারাসান এথিরাজন, সম্পাদক, দক্ষিণ এশিয়া, বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস (সূত্র-বিবিসি বাংলা)