Image description

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিচ্ছে সেনাবাহিনী। এর প্রতিবাদে বার্তা দিয়েছে অঞ্চলটির স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলনরত জোট সর্বদলীয় হুরিয়ত কনফারেন্স।

আল জাজিরার রোববারের (২৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় সেনা কর্তৃক কাশ্মীরিদের বাড়ি ধ্বংসের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সর্বদলীয় হুরিয়ত কনফারেন্সের চেয়ারম্যান মিরওয়াইজ উমর ফারুক। নিরীহ কাশ্মীরি পরিবারগুলোকে শাস্তি না দিতে তিনি নরেন্দ্র মোদির সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

একই বার্তায় উমর ফারুক পেহেলগাম হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং বলেছেন, এ ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা জরুরি।

এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি আরও বলেন, পেহেলগামে হামলার পর নির্বিচারে কাশ্মীরিদের গ্রেপ্তার এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘরবাড়ি ভাঙার ভিডিওগুলো বিরক্তিকর এবং বেদনাদায়ক। আমি কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি, নির্দোষ ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচারের অজুহাতে নিরীহ কাশ্মীরি পরিবারগুলোকে শাস্তি দেবেন না।

সর্বদলীয় হুরিয়ত কনফারেন্স (এপিএইচসি) ২৬টি রাজনৈতিক, সামাজিক এবং ধর্মীয় সংগঠনের একটি জোট। যা ১৯৯৩ সালের ৯ মার্চ গঠিত হয়। কাশ্মীরের স্বাধীনতার দাবি উত্থাপনের জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক ফ্রন্ট হিসেবে জোটটির আত্মপ্রকাশ ঘটে।

জম্মু ও কাশ্মীরের ওপর ভারত সরকারের নিয়ন্ত্রণের বিরোধিতা করার কারণে ঐতিহাসিকভাবে এই জোটকে ইতিবাচকভাবে দেখে পাকিস্তান।

হুরিয়তের মতে, জম্মু ও কাশ্মীর একটি বিতর্কিত অঞ্চল এবং এর উপর ভারতের নিয়ন্ত্রণ ন্যায্য নয়। তারা পাকিস্তানের দাবিকে সমর্থন করে। পাকিস্তান বলে আসছে, কাশ্মীর দেশ ভাগের অসমাপ্ত এজেন্ডা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুসারে এর সমাধান করা প্রয়োজন।

এপিএইচসি নিজেকে কাশ্মীরি জনগণের একমাত্র প্রতিনিধি বলে মনে করে। তারা এ অঞ্চলে ভারতের সব ধরনের নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণে নানামুখী কাজ করে আসছে।

প্রসঙ্গত, কাশ্মীরে ভারতীয় সৈন্যরা সন্দেহভাজনদের বাড়িঘর ভেঙে দিচ্ছে। সর্বশেষ আরও দুই ব্যক্তির বাড়িঘর ভেঙে দেয় তারা। বলা হচ্ছে, ওই দুই ব্যক্তি পেহেলগামে ভয়াবহ হামলার সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহভাজন।

হামলার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এ দুই সন্দেহভাজন বিদ্রোহীর পরিবারের সদস্যদেরও আটক করা হয়। তাদের আত্মীয়স্বজন এবং একজন পুলিশ কর্মকর্তা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রোববার এক পুলিশ কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, পেহেলগাম হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিদ্রোহীদের ৯টি বাড়িতে বোমা হামলা চালানো হয়েছে।