
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র হামলার জেরে উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক। এরইমধ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে দেশ দুটি, তৈরি হয়েছে কূটনৈতিক টানাপোড়েন। শুধু তাই নয়, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কাও করছেন অনেকে।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স :
স্থলভাগ
ভারত: গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের হাতে ৪,২০১টি ট্যাঙ্ক আছে। গাড়ি আছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৯৪টি। সেলফ-প্রপেলড আর্টিলারির সংখ্যা হলো ১০০। আর ২৬৪টি মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম (এমএসআরএস) আছে ভারতের হাতে।
পাকিস্তান: ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের ট্যাঙ্কের সংখ্যা ২,৬২৭টি। ১৭ হাজার ৫১৬টি গাড়ি আছে। সেলফ-প্রপেলড আর্টিলারি আছে ৬৬২টি। মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেমের (এমএসআরএস) সংখ্যা ৬০০।
আকাশপথ
ভারত: মোট এয়ারক্রাফটের সংখ্যা ২,২২৯টি। যুদ্ধবিমান আছে ৫১৩টি। হেলিকপ্টার আছে ৮৯৯টি। এছাড়া অ্যাটাক হেলিকপ্টারের সংখ্যা ৮০টি।
পাকিস্তান: পাকিস্তানের হাতে মোট ১,৩৯৯টি এয়ারক্রাফট আছে। যুদ্ধবিমানের সংখ্যা ৩২৮ এবং হেলিকপ্টার আছে ৩৭৩টি। অ্যাটাক হেলিকপ্টারের সংখ্যা হলো ৫৭।
নৌপথ
ভারত: গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের হাতে ২৯৩টি ‘অ্যাসেট’ আছে। এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারের সংখ্যা দুটি। ডেস্ট্রয়ার আছে ১৩টি। ১৪টি ফ্রিগেট আছে। সাবমেরিন আছে ১৮টি। এছাড়া প্যাট্রোলিং ভেসেলের সংখ্যা ১৩৫টি।
পাকিস্তান: দেশটির ‘অ্যাসেট’-র সংখ্যা ১২১টি। তবে একটিও এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার এবং ডেস্ট্রয়ার নেই। ৯টি ফ্রিগেট, আটটি সাবমেরিন এবং ৬৯টি প্যাট্রোলিং ভেসেল আছে ইসলামাবাদের হাতে।
উল্লেখ্য, কাশ্মীর হামলা নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে ভারত-পাকিস্তানের সামরিক শক্তি নিয়ে নানা হিসাব-নিকাশসহ চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। পরিসংখ্যান বলছে, উপরোক্ত ইনডেক্সের হিসেবে সেনা, বিমান ও নৌ শক্তিতে ভারত অনেকটাই এগিয়ে। তবে পরমাণু শক্তিতে দুই দেশেরই রয়েছে প্রায় সমান সক্ষমতা।
আলাদা দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের সাথে পাল্লা দিয়ে সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে। তবে দুর্বল অর্থনীতি ও অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার কারণে গত কয়েক দশকে পাকিস্তান অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে প্রতিবেশী ভারতের তুলনায়।