
ভারতের জাতীয় পতাকায় মোড়া কফিনে স্বামীর দেহ। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের বুলেটের সঙ্গেই মাত্র সাত দিনের বিবাহিত জীবনের শেষ হয়ে গেছে হরিয়ানার গুরুগ্রামের বাসিন্দা হিমাংশী নরওয়ালের।
মঙ্গলবার থেকেই পহেলগামের বৈসরনে স্বামী বিনয় নরওয়ালের মৃতদেহের পাশে তার চুপচাপ বসে থাকার ছবি ঘুরে বেড়িয়েছে সামজিক মাধ্যমে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) সেই তরুণীই স্বামীর কফিনের সামনে দাঁড়িয়ে স্যালুট দিলেন।
এদিন দিল্লি বিমানবন্দরে স্বামীর কফিনবন্দি দেহের সামনে অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে হিমাংশী বলতে থাকেন, ‘প্রার্থনা করি, তোমার আত্মা যেন শান্তি পায়…তুমি আমাদের গর্ব।’ এরপর তাকে সামলাতে দেখা যায় পরিবারের অন্যদের। কফিনের পাশে দাঁড়িয়ে স্যালুট দেন হিমাংশী।
বুধবার যখন দিল্লি বিমানবন্দরে নৌসেনার তরফে বিনয় নরওয়ালকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়, তখনই সেখানে উপস্থিত ছিলেন হিমাংশী ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা। নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠী লেফটেন্যান্ট বিনয়কে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্যানুসারে, গত ১৬ এপ্রিল বিয়ে হয় বিনয় নরওয়াল ও হিমাংশীর। বিনয় কেরালার কোচিতে থাকেন। হিমাংশীর বাড়ি হরিয়ানার গুরুগ্রামে। ১৯ এপ্রিল বিয়ের প্রীতিভোজের পর মধুচন্দ্রিমায় ইউরোপ যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করে কাশ্মীর যেতে চান দম্পতি।
সব ঠিকই ছিল। মঙ্গলবার বৈসরন ভ্যালিতে ভেলপুরি খাচ্ছিলেন দু’জনে। সেই সময়ই হঠাৎ শুরু হয় হামলা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই একে-৪৭ রাইফেলের গুলিতে বিদ্ধ হন বিনয়।