Image description

ইউক্রেন আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হলেই রাশিয়া ইউরোপের দিকে তাকাতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে পোল্যান্ড। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাডোস্লা সিকোরস্কি বলেছেন, যদি ইউক্রেন আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়, তাহলে চলতি দশকের শেষে ইউরোপ আক্রমণ করবে রাশিয়া। এই খবর জানিয়েছে তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলু এসেন্সি।

সিকোরস্কি বলেন, ‘রাশিয়া বর্তমানে একা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে জয়লাভ করতে অক্ষম, তাই তারা তাৎক্ষণিকভাবে আরও বিস্তৃত আক্রমণের জন্য প্রস্তুত হবে না। তবে যদি ইউক্রেনকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা হয় এবং রাশিয়া ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর দায়িত্ব নেয়... তাহলে এই হিসাব বদলে যাবে।’

তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে ইউরোপের উচিত ‘চলতি দশকের শেষ নাগাদ’ রাশিয়ার আক্রমণ ঠেকানোর জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকা। এর আগে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার বলেছেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিশ্বাস করেন না। রাশিয়া অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার নিতে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত চলমান আলোচনায় ‘জয়’ পেতে চায়।

 

এদিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধবিরতি নিয়ে কিয়ার স্টারমারের প্রস্তাবকে উড়িয়ে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। একই সঙ্গে তিনি তার প্রস্তাবকে ‘ভঙ্গিমাপূর্ণ ও কৌশলী’ বলে মন্তব্য করেছেন। উইটকফ বলেন, ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কে ‘অতি সরলীকৃত’ ধারণা পোষণ করছেন এবং ‘চার্চিল হওয়ার অভিনয় করছেন’।

 
 

সাংবাদিক টাকার কার্লসনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উইটকফ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশংসা করে বলেন, ‘তিনি তাকে খারাপ ব্যক্তি হিসেবে দেখেন না। পুতিন অত্যন্ত বুদ্ধিমান।’

 

এই অবস্থায় রাশিয়া যে কোনো চুক্তির জন্য কঠোর শর্ত দিয়েছে। যার মধ্যে ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার দাবি অন্তর্ভুক্ত। কিয়েভ ও তার মিত্ররা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে রাশিয়ার দাবি মেনে হোয়াইট হাউস অস্থায়ীভাবে অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করলেও এখনো কোনো স্থায়ী সীমাবদ্ধতা আরোপ করেনি।

এই অবস্থায় ইউরোপীয় কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্প কূটনৈতিক সাফল্যের লক্ষ্যে ইউক্রেনের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিতে পারেন। তাদের মতে, পুতিন আলোচনায় দেরি করিয়ে ট্রাম্পের কাছ থেকে আরও ফায়দা আদায়ের চেষ্টা করছেন।

লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট গিতানাস নাউসেদা বলেছেন, ‘রাশিয়া কেবল আলোচনার অভিনয় করছে। তারা শান্তি বা যুদ্ধবিরতির কথা বললেও বাস্তবে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।’