Image description
 

ফিলিস্তিনের গাজাকে দুই ভাগে বিভক্ত করে বানানো কথিত নেতজারিম করিডর ফের দখলে নিয়েছে দখলদার ইসরাইলের সেনারা। এদিকে সামরিক মহড়ার জন্য অধিকৃত গোলান মালভূমি এলাকায় অতিরিক্ত সেনা এবং যানবাহন মোতায়েন করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সামাজিক মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে ইসরাইলি বাহিনী বলেছে, বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যেতে পারে। তবে কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই। এদিকে বৃহস্পতিবার গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলায় আরও ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। খবর আলজাজিরার।

গেল ডিসেম্বরে সিরিয়ার বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী অধিকৃত গোলান মালভূমির অভ্যন্তরে সিরিয়ার আরও ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এদিকে বিমান হামলায় শত শত ফিলিস্তিনির প্রাণহানির রেশ না কাটতেই গাজা উপত্যকায় এবার নতুন করে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরাইলি বাহিনী। হামাস বলেছে, বৃহস্পতিবার ইসরাইলের ঘোষিত স্থল অভিযান যুদ্ধবিরতি চুক্তির একটি নতুন ও বিপজ্জনক লঙ্ঘন। গত জানুয়ারিতে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছিল। যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা এগোতে ব্যর্থ হওয়ার পর মঙ্গলবার ইসরাইল হামলা পুনরায় শুরু করে। ইসরাইল সতর্ক করেছে যে, হামাস বাকি জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত গাজায় হামলা তীব্রতর হবে। ইসরাইল বলেছে, হামাস এখনো ৫৯ জন জিম্মিকে আটকে রেখেছে, যাদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) বৃহস্পতিবার বলেছে, তারা গাজায় লক্ষ্যভিত্তিক স্থল কার্যক্রম শুরু করেছে, যা তারা উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে আংশিক বাফার তৈরি করার প্রচেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করেছে। তারা এই পদক্ষেপকে সীমিত স্থল অভিযান বলে অভিহিত করেছে। আইডিএফের মুখপাত্র কর্নেল অবিচায় আদরায়ি বলেছেন, বাহিনীগুলোকে নেটজারিম করিডর নামে পরিচিত একটি স্ট্রিপের কেন্দ্র পর্যন্ত মোতায়েন করা হয়েছে, যা উত্তর ও দক্ষিণ গাজাকে বিভক্ত করে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তারা পূর্ণ শক্তিতে যুদ্ধ পুনরায় শুরু করেছে এবং এখন যে কোনো যুদ্ধবিরতি আলোচনা গোলাবর্ষণের মধ্যে হবে। ইসরাইল ও হামাস যুদ্ধবিরতিকে প্রথম পর্যায়ের বাইরে নেওয়ার বিষয়ে সম্মত হতে পারেনি, যা গত ১ মার্চ শেষ হয়েছে। হামাস ইসরাইলের শর্তে যুদ্ধবিরতি পুনরায় আলোচনা করতে সম্মত হয়নি, যদিও তারা একটি জীবিত আমেরিকান জিম্মি এবং চার জিম্মির দেহ ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে মার্চের শুরুতে ইসরাইল গাজায় প্রবেশকারী সব খাদ্য, জ্বালানি ও চিকিৎসা সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।