
হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প-জেলেনস্কি উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় এখন টক অব দ্য ওয়ার্ল্ড। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের চোখের ওপর চোখ রেখে যেভাবে পাল্টা জবাব দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, তা বিশ্বে বিরল। উত্তেজনা, উত্তাপ একসময় এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, পূর্বসূরি সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ‘স্টুপিড’ প্রেসিডেন্ট বলে অভিহিত করেন ট্রাম্প। অভিযোগ করেন, জেলেনস্কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধাতে চাইছেন। হোয়াইট হাউসে বসে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর ব্যক্তি ট্রাম্পের চোখের ওপর চোখ রেখে পাল্টা জবাব দেয়ার এমন নজির আর আছে কিনা জানা নেই। তাদের
মধ্যে কথোপকথনে যে পর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে, তা দেখে যেকোনো জটিল ঝগড়ার কথা মনে হয়ে যেতে পারে। সরাসরি সম্প্রচারিত ওই কথোপকথন বিশ্ববাসী অবলোকন করেছে বিস্ময় নিয়ে। এ ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির পক্ষ নিয়েছেন ইউরোপিয়ান নেতারা। ইউরোপিয়ান নেতাদের একটি সম্মেলনকে সামনে রেখে গতকাল লন্ডনের স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে অবতরণ করেছেন জেলেনস্কি। এমন অবস্থায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার। এখানে উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প একসময় রিয়েলিটি শো ‘অ্যাপ্রেন্টিস’ করতেন। অন্যদিকে ভলোদিমির জেলেনস্কি ছিলেন তার দেশের বিখ্যাত কৌতুক অভিনেতা। ফলে তারা যখন কথাকাটাকাটি করছিলেন, তখন তা দেখে কেউ ভেবে বসতে পারেন- এটা হয়তো কোনো সিনেমার দৃশ্য। আসলে না! সত্যি এমন দৃশ্যের অবতারণা হয়েছিল হোয়াইট হাউসে, যেখানে বসে কথা বলতে গেলে যেকারও ঠ্যাং কাঁপার কথা। কিন্তু দৃশ্যত জেলেনস্কি বিন্দুমাত্র ভয় পাননি। তার শারীরিক ভাষা ছিল বলিষ্ঠ। ট্রাম্প, জেডি ভান্সের সঙ্গে তীব্র কথাকাটাকাটি করেছেন তিনি। আলোচনায় উভয়পক্ষ একে-অন্যের ওপর আঙ্গুল তুলে কথা বলেছেন। উত্তেজনার সময় জেলেনস্কির বাম পাশে হাত দিয়ে স্পর্শ করেন ট্রাম্প। তারা আঙ্গুল তুলে কথা বলার সময় যখন দু’জনেই কথা বলছিলেন, সেই মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। শুক্রবারের এ বিষয়টি বিশ্বজুড়ে আলোচনার খোরাক যুগিয়েছে। তবে এর ফলে ভয় জন্মে গেছে অন্যখানে। ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে এই উত্তেজনার রেশ ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের মধ্যে লাগবে বলে মন্তব্য করছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানীরা। শুক্রবার ট্রাম্পের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনার পর তার দেশের খনিজ সম্পদ বিষয়ক একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে শান্তিতে হোয়াইট হাউস ত্যাগ করার আশা করছিলেন। কিন্তু আলোচনা শুরুর পর দফায় দফায় তিনি অপমানিত হয়েছেন। তাকে বার বার হেয় করা হয়েছে। সাধারণ পোশাকে হোয়াইট হাউসের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন জেলেনস্কি। তার জন্য কটাক্ষও সহ্য করতে হয়েছে তাকে। মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, এক পর্যায়ে তাকে হোয়াইট হাউস থেকে বের করে দিয়েছেন ট্রাম্প।
কথোপকথনে ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের জন্য অধিক পরিমাণ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার দাবি জানান ট্রাম্প ও জেডি ভান্স।
বিশ্ব মিডিয়ার সামনে ব্যতিক্রমী পোশাকে উপস্থিত হন ভলোদিমির জেলেনস্কি। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে কঠোর কাজ করা উচিত বলে অধিক শক্তিধর অংশীদার ট্রাম্প ও জেডি ভান্স পরামর্শ দেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন ভলোদিমির জেলেনস্কি। ট্রাম্প ও ভান্স ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে বলেন, তিনি কৃতজ্ঞ নন। আলোচনার পর ট্রাম্প ও জেলেনস্কির সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস ত্যাগ করতে বলা হয়। উভয় পক্ষ গত সপ্তাহে যে খনিজ চুক্তি নিয়ে প্রশংসা করেছিলেন- তা স্বাক্ষরবিহিন অবস্থায়ই রয়ে যায়। এরপর জেলেনস্কির গাড়ি হোয়াইট হাউস ত্যাগ করার সামান্য আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন- যখন শান্তির জন্য প্রস্তুত হবেন, তখন ফিরে আসবেন। হোয়াইট হাউস থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসেন জেলেনস্কি। তখন সাংবাদিকরা দূর থেকে বিভিন্ন প্রশ্ন ছুড়ে মারেন। তিনি কোনো কথার উত্তর না দিয়ে সোজা গাড়িতে গিয়ে বসেন।
ট্রাম্প, জেডি ভান্স এবং ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে শুরুতে আন্তরিকতার সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা আলোচনা হয়। আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এরপর ওভাল অফিসে জেডি ভান্স বলেন- শান্তির পথ এবং সমৃদ্ধির পথ নিহিত থাকতে পারে কূটনৈতিক সংশ্লিষ্টতার মধ্যে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেটাই করছেন। এ সময়েই আলোচনার পারদ চড়তে শুরু করে। জেডি ভান্সের কথার মধ্যেই জেলেনস্কি ফোড়ন কাটেন। তিন বছর আগে শুরু হওয়া রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ আগ্রাসন এবং ২০১৯ সালে যুদ্ধবিরতিতে ব্যর্থতার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি। প্রেসিডেন্ট পুতিনের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন- তাকে কেউই থামায়নি।
এ সময়ই কথোপকথনে উত্তেজনা দৃশ্যমান হয়। জেলেনস্কির জবাবে জেডি ভান্স বলেন- সেই ধরনের (কূটনীতির) কথা বলছি, যা আপনাদের দেশে ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করবে। এরপরই জেলেনস্কি কৃতজ্ঞ নন বলে অভিযোগ করেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স। যুদ্ধ বন্ধের জন্য ট্রাম্পের উদ্যোগের পক্ষ অবলম্বন করেন জেডি ভান্স। এজন্য পুতিনের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছেন ট্রাম্প এবং দ্রুত একটি যুদ্ধবিরতির দিকে তাকে ঠেলে দিয়েছেন। কিন্তু ভান্সের কথায় প্রথম ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠে।
সামরিক বাহিনী এবং এ সংক্রান্ত বিষয়ে জেলেনস্কি যেসব সমস্যার মুখোমুখি তা চ্যালেঞ্জ জানান ভান্স। জবাবে জেলেনস্কি বলেন- যুদ্ধের সময় সবারই সমস্যা থাকে। এমনকি আপনারও। আপনাদের তো একটি চমৎকার সমুদ্র আছে। কিন্তু আপনারা এটা অনুধাবন করতে পারছেন না। কিন্তু ভবিষ্যতে তা টের পাবেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি পুতিনের আগ্রাসী নীতির দিকে ইঙ্গিত করেছেন। এর পূর্ব পর্যন্ত কথাকাটাকাটি চলছিল জেডি ভান্স ও জেলেনস্কির মধ্যে। কিন্তু জেলেনস্কি ওই মন্তব্য করার পরই ট্রাম্পের গাত্রদাহ শুরু হয়ে যায় এবং কথাকাটাকাটির মধ্যে তিনি লিপ্ত হন। জেলেনস্কি দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগ্রাসীদের মোকাবিলার নৈতিকতা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন। জেলেনস্কির বার্তা সমালোচকদের হৃদয়ে দাগ ফেলেছে। তারা বলছেন, রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্প বোঝাপড়ায় ভুল করছেন বলে বোঝাতে চেয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে মস্কো যে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সেখান থেকে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন, একটি দ্রুত যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে পুতিনকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করছেন, ইউরোপকে দুর্বল করছেন এবং ইউক্রেনকে ঝুঁকির মুখে ফেলছেন বলে মনে করা হয়। ডনাল্ড ট্রাম্প এই যুদ্ধকে দু’টি পক্ষের মধ্যে এক ধরনের বাইনারি যুদ্ধ বলে রূপ দেয়ার চেষ্টা করেন। এই চিন্তাধারার ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করার চেষ্টা করেন জেলেনস্কি। এই প্রথমবার ওভাল অফিসে সরাসরি ট্রাম্পের চোখে চোখ রেখে তিনি বলেন- রাশিয়াকে সন্তুষ্ট করার মাধ্যমে এই যুদ্ধ আপনার কাছে চলে আসবে। তার এ মন্তব্যে ট্রাম্পের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। তিনি বলেন, আমাদেরকে এটা বলবেন না যে- আমরা কেমন অনুভব করবো। আমাদেরকে নির্দেশনা দেয়ার মতো অবস্থানে নেই আপনি। এ সময় ট্রাম্পের কণ্ঠ ক্রমশ জোরালো হতে থাকে। জেলেনস্কির উদ্দেশ্যে তিনি বলতে থাকেন- বিষয়টি এখন আপনার কাছে নেই। লাখ লাখ মানুষের জীবন নিয়ে আপনি জুয়া খেলছেন।
এই কথোপকথনে ওইসব বিজ্ঞজন মনে করতে পারেন জেলেনস্কি জিতেছেন, যারা চান যে- তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কথার জবাব দেন। কিন্তু বিষয়টি এখন এমন একপর্যায়ে পৌঁছেছে যা সিদ্ধান্ত দেবে এই যুদ্ধ এবং ইউরোপে শান্তির বিষয়। কথোপকথনের পরের একপর্যায়ে জেলেনস্কি বলেন, যুদ্ধ শুরুর একেবারেই শুরু থেকে আমরা একেবারে একা ছিলাম এবং আমরা কৃতজ্ঞ। তার এ কথায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষোভ ধরে রাখতে পারেননি। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের ট্যাক্সদাতাদের অর্থ এই যুদ্ধে বার বার দেয়া হয়েছে সহায়তা হিসেবে। জেলেনস্কির ওই মন্তব্যের জবাবে ট্রাম্প বলেন, আপনি একা ছিলেন না। তিনি বলেন- আপনাকে আমরা এই স্টুপিড প্রেসিডেন্টের (জো বাইডেন) মাধ্যমে দিয়েছি ৩৫০০০ কোটি ডলার।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। তাতে বর্তমানের বিরোধী দল (তখন ক্ষমতাসীন) ডেমোক্রেটদের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেয়ার জন্য জেলেনস্কিকে অভিযুক্ত করেন জেডি ভান্স। তিনি জেলেনস্কিকে প্রশ্ন করেন- যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই সাক্ষাৎ নিয়ে তিনি ধন্যবাদ জানাবেন কিনা। উল্লেখ্য, গত বছর ৫ই নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কয়েক বছর আগে জো বাইডেনের নিজের শহর পেনসিলভ্যানিয়ার স্যাক্রান্টনে একটি অস্ত্রের কারখানা পরিদর্শন করেন জেলেনস্কি। সেদিকে ইঙ্গিত করে জেডি ভান্স ওই প্রসঙ্গ সামনে আনেন। ওই সময়ে জেলেনস্কির সফর নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন রিপাবলিকানরা। তারা অভিযোগ করেন, ডেমোক্রেট প্রার্থী কমালা হ্যারিসকে ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যে জয় পাওয়ার জন্য দলীয় প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন জেলেনস্কি। বৈশ্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে হোয়াইট হাউসে এই উত্তেজনার মধ্যে জেলেনস্কি বলেন, দয়া করে ভাবুন আপনারা যুদ্ধ সম্পর্কে খুব চিৎকার করে কথা বলবেন কিনা। সঙ্গে সঙ্গে জেডি ভান্সের দিকে ইঙ্গিত করে ট্রাম্প বলেন- তিনি চিৎকার করে কথা বলছেন না। দৃশ্যত এ সময় ট্রাম্পকে বেশ খিটমিটে মেজাজে দেখা যায়। তিনি বলেন- আপনার দেশ বড় রকম সমস্যায়। আপনি বিজয়ী হবেন না। এই যুদ্ধে আপনি বিজয়ী হবেন না। আমাদের কারণে এই যুদ্ধ থেকে আপনার বেরিয়ে আসার ভালো সুযোগ আছে।
ট্রাম্প বলেন, এভাবে কথা বলা খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এভাবে একটি চুক্তি করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কারণ, এই মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে। কিন্তু মনোভাব বা ইংরেজিতে অ্যাটিটিউড শব্দটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স উভয়কেই খুব বেশি ক্ষুব্ধ করে তোলে। ফলে জেডি ভান্স একপর্যায়ে বলে বসেন- শুধু বলেন, ধন্যবাদ। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর হিসেবে পরিচিত দুই ব্যক্তির সামনে নিজেকে একপেশে মনে করেন জেলেনস্কি। তাকে তার অস্তিত্ব প্রমাণের অবস্থানে নিয়ে যান তারা। জেলেনস্কি রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে তার দেশকে রক্ষা করার জন্য তিনটি বছর ব্যয় করেছেন। তার দেশকে পুতিন বিভক্ত করার চেষ্টা করেছেন। সেই দেশের সমাজ এবং এর নেতৃত্বকে শক্তভাবে ধরে রাখার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু ওই কক্ষের আরেকটি দৃশ্য ধরা পড়ে মূল ক্যামেরায়। তাতে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত জেলেনস্কির রাষ্ট্রদূত ওকসানা মারকারোভা উত্তেজনার সময়ে তার দু’হাত মাথায় দিতে দেখা যায়।
আলোচনায় উত্তেজনা সত্ত্বেও জেলেনস্কি বলেছেন, এখনও আমরা কৌশলগত অংশীদার। তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে লন্ডনের স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এক্সে তিনি এক পোস্টে বলেছেন, আমাদেরকে বেঁচে থাকতে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এটা আমি স্বীকার করি। উত্তেজনাপূর্ণ কথোপকথনের পরও আমরা কৌশলগত অংশীদার। তবে আমাদেরকে সৎ থাকতে হবে। অভিন্ন লক্ষ্য সত্যিকারভাবে অনুধাবনের জন্য একে-অন্যের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে হবে। তিনি বলেন, সব রকম সমর্থনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইউক্রেন কৃতজ্ঞ। এ সময় তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান।