
ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান এবং রাশিয়া-মার্কিন উত্তেজনা কমাতে রিয়াদে বৈঠককে স্নায়ু যুদ্ধের পর থেকে এই দুই পরাশক্তির মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে এই বৈঠককে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই বৈঠকটিকে ‘একটি দীর্ঘ ও কঠিন যাত্রার শুরু’ বলে অভিহিত করেছেন।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজ বলেন, আলোচনায় ইউক্রেনের ভূখণ্ডের অখণ্ডতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অগ্রাধিকার পাবে।
এই আলোচনায় ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত না করায় সমালোচনা তৈরি হয়েছে।
রুবিও বলেছেন, যেহেতু ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তাই তাদের আলোচনায় অংশগ্রহণ করা হবে।
বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে একটি শীর্ষ বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়। তবে পুতিনের উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ বলেছেন, নিকট ভবিষ্যতে এমন বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা কম।
উশাকভের মতে, আলোচনা সাধারণভাবে ইতিবাচক ছিল। তবে তিনি স্বীকার করেন যে এখনও বলা কঠিন যে রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান একে অপরের কাছাকাছি আসছে কিনা। এই বৈঠকে ওয়াল্টজ, রুবিও, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ, মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং উশাকভ নিজেও উপস্থিত ছিলেন।
তবে এই আলোচনা নিয়ে একটি বড় প্রশ্ন থেকে গেছে কারণ ইউক্রেনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে যে তাদের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো শান্তি চুক্তি গ্রহণযোগ্য হবে না। এই বিষয়টি ভবিষ্যতের আলোচনায় একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিতে পারে।
এই বৈঠক দুটি পরাশক্তির মধ্যে উত্তেজনা কমানোর ক্ষেত্রে একটি সম্ভাবনার দরজা খুলেছে। তবে এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান এবং বিশ্ব রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে এই আলোচনা কতটা ভূমিকা রাখে, তা এখন দেখার বিষয়।