
রাষ্ট্রপতি বিরোধী বিক্ষোভের মধ্যে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। আজ শুক্রবার রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।
ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা বাজার ১ মিনিট আগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে পৌঁছেন। তাকে অভ্যর্থনা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ।
এদিকে কড়া নিরাপত্তায় রাষ্ট্রপতির গাড়িবহর শহীদ মিনার এলাকায় আসার পরপরই উপস্থিত শিক্ষার্থী-জনতা বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় ‘গো ব্যাক চুপ্পু’ শ্লোগান দেওয়া শুরু করেন তারা।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ , জুলাই গণহত্যাকারী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দোসর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। স্বৈরাচার হাসিনার সকল অবৈধ ও বেআইনি কাজকে অনুমোদন করে জুলাই গণহত্যার সুযোগ তৈরি করেছেন দিয়েছেন তিনি। এমনকি জুলাই বিপ্লবেও শেখ হাসিনার হাজারো ছাত্রজনতার হত্যাকাণ্ডের অন্যতম কুশীলব তিনি।
বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ বলেন, “চুপ্পুর সামনে পদত্যাগ করে বিচারের মুখোমুখি হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এই চুপ্পু ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনকে বৈধতা দিয়ে, ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকারকে শপথ পড়িয়ে, তার সব অবৈধ ও বেআইনি কাজকে অনুমোদন দিয়েছিল। এমনকি শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়ে জুলাই বিপ্লবেও দেশে গণহত্যার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন। এই চুপ্পুর শহীদ মিনারে এসে শ্রদ্ধা জানানো ভন্ডামী ছাড়া আর কিছুই না।”
এর আগে জুলাই গণহত্যার শহীদদের স্মরণে কালো পতাকা মিছিল বের করে একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আগমন প্রতিহত করার ঘোষণা দেয় বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ঘোষণা দেন সংগঠনের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ।
তবে এই বিক্ষোভ পরিস্থিতির মধ্যেই ভাষা শহীদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে শহীদ মিনার এলাকা থেকে বিদায় নেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা নিবেদনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস এবং প্রধান বিচারপ্রতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ শ্রদ্ধা জানান। তারপর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তারপর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা শ্রদ্ধা নিবেন করেছেন। এরপর তিন বাহিনীর প্রধানগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন।