Image description

গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) শাহবাগ থানার সামনে বহিরাগতদের সাথে নিয়ে বামপন্থী একদল শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টরিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স এর এক সদস্যদের ওপর হামলা করেছিলেন। এতে ওমর ফারুক নামে একজন সদস্য রক্তাত হয়েছিলেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বামপন্থী শিক্ষার্থী আবির হাসানকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসা হলে বহিরাগতদের দিয়ে ক্যাম্পাসে মিছিল ও প্রক্টর অফিস ঘেরাও করার শঙ্কা ছিল সেদিন। 

আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে আবির হাসান অভিযোগ করেন, সেদিন ডাকসু নেতা সর্বমিত্র চাকমা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে বামপন্থী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন। আবির হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে উমামা ফাতেমার নেতৃত্বাধীন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের সদস্য পদপ্রার্থী ছিলেন। তিনি সিএসই বিভাগের ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য সর্বমিত্র চাকমা জানিয়েছেন, আমার মন্তব্য ছিল, তাদের ঠেকাতে আমরা হলপাড়া থেকে স্টুডেন্ট এনে তাদের প্রতিরোধ করতে পারি। ঠ্যাং ভাঙার কথা যেহেতু বলছেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়-শিক্ষার্থীদের রক্ষার্থে ঠ্যাং ভাঙতেও প্রস্তুত! পরে রাতে ফেসবুক দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সর্বমিত্র চাকমা স্ট্যাটাসে বলেন, আবির হাসান নামের ব্যক্তি যিনি অভিযোগ করেছেন ঠ্যাং ভেঙে দেয়ার জন্য দশজন ছেলেপেলে নিয়ে আসার জন্য প্রক্টরের কাছ থেকে অনুমতি চেয়েছি। প্রথমত, সেই আবির হাসান তখন প্রক্টরিয়াল বডির একজনকে আক্রমণ করে রক্তাক্ত করার অভিযোগে প্রক্টর অফিসে ছিলেন অভিযুক্ত হিসেবে।

‘‘সেসময় প্রক্টরিয়াল বডির সকল সদস্য কার্যবিরতি দিয়ে নিরাপত্তার শঙ্কায় কাজ ফেলে প্রক্টর অফিসে চলে আসে। ঠিক সেসময় বাম এবং মাদক-চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট উস্কানি দিয়ে হকার-উদ্বাস্তু-ভবঘুরেদের নিয়ে এসে ক্যাম্পাসে মিছিল করছে এবং প্রক্টর অফিস ঘেরাও করবে করবে এমন থমথমে অবস্থা সেসময়। সে পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত প্রক্টোরিয়াল বডি অনেকটাই অক্ষম হয়ে পড়েছিল।’’