
তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন ও মশাল মিছিল হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে রংপুর ডিভিশন স্টুডেন্টস ইউনিটির ব্যানারে এ কর্মসূচি হয়।
এই কর্মসূচিতে অংশ নেন সংগীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কৌশিক আহম্মেদ, চাকসুর নবনির্বাচিত জিএস সাঈদ বিন হাবিব, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক হারেজুল ইসলাম হারেজ, সহসাহিত্য সম্পাদক জিহাদ হোসেন, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক ফজলে রাব্বি, সমাজসেবা সম্পাদক তাহসিনা রহমান, ছাত্রদল নেতা শাফায়েত হোসেন, ইসলামী ছাত্র মজলিসের সভাপতি সাকিব মাহমুদ এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের সংগঠক রাসেল আহমেদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘তিস্তা উত্তরবঙ্গের মানুষের জীবন, সংস্কৃতি ও আবেগের প্রতিচ্ছবি। নভেম্বরের মধ্যেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করতে হবে।’ চাকসুর নবনির্বাচিত জিএস সাঈদ বিন হাবিব বলেন, ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনার খসড়া রোডম্যাপ দ্রুত প্রকাশ ও বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিতে হবে। একই সঙ্গে স্বাধীনতার পর থেকে ভারতের সঙ্গে হওয়া সব চুক্তি প্রকাশ করতে হবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের সংগঠক রাসেল আহমেদ বলেন, ‘কোনো সরকারই তিস্তা সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে পারেনি। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে বলতে চাই– বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কোনো পদক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না।’
মানববন্ধন শেষে অংশগ্রহণকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে মশাল জ্বালিয়ে কাটা পাহাড়ের রাস্তা হয়ে স্মরণচত্বর (জিরো পয়েন্ট) পর্যন্ত মিছিল করেন। এ সময় তারা ‘উত্তরের এই বৈষম্য, মানি না মানবো না’, ‘সবার প্রাপ্য সবাই পায়, আমার বেলায় বাজেট নাই’সহ নানা স্লোগান দেন।
সম্প্রতি তিস্তা নদীর দোয়ানী পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর আগে একই দাবিতে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও মশাল মিছিল করে তিস্তাপাড়ের মানুষের সঙ্গে সংহতি জানান।