Image description

বাকির টাকা চাওয়ায় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) বিজয়-২৪ হলের ক্যান্টিনের পরিচালককে মারধর করেছে জাহাঙ্গীর আলম নামের এক শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাত ৮ টায় হলের ক্যান্টিনে এ ঘটনাটি ঘটে।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী। ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী হলেও তিনি ২১ ব্যাচের সঙ্গে স্নাতক সম্পন্ন করছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীর মঙ্গলবার রাত ৮ টায় হলের ক্যান্টিনে গিয়ে সিগারেট চান। এসময় ক্যান্টিনের দোকানদার জহুরুল ইসলাম তাকে পূর্বের বাকি থাকা প্রায় ৮০০ টাকা পরিশোধ করার জন্য বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে যান। ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি দোকানদারের শার্টের কলার চেপে ধরে গালাগালি করতে থাকেন এবং একপর্যায়ে মারধর করে গেঞ্জি ছিড়ে ফেলেন। এসময় ক্যান্টিনে থাকা একজন শিক্ষার্থী এগিয়ে আসেন এবং দুইজনকে আলাদা করে দেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী জহুরুল ইসলাম বলেন, তার থেকে আমি আগের প্রায় ৮০০ টাকা পাই। এরপরেও কয়েকবার তিনি বাকিতে খরচ করেছেন আমার দোকান থেকে। মঙ্গলবার তিনি ক্যান্টিনে এসে সিগারেট চাইলে আমি তাকে আগের বাকি থাকা টাকার কথা বলি। এসময় তিনি আমাকে গালাগাল করেন এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এরপর দোকানের মধ্যে ঢুকে কলার চেপে ধরেন এবং গেঞ্জি ছিড়ে ফেলেন। এসময় ক্যান্টিনে থাকা এক শিক্ষার্থী এগিয়ে এসে আমাকে রক্ষা করেন। এরপরও সে রড নিয়ে আমাকে মারতে আসে। এরপর আমি চিৎকার করলে সে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য কয়েকবার তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে বিজয়-২৪ হলের হল সুপার অধ্যাপক ড. মো. আরিফুজ্জামান বলেন, মারধরের অভিযোগ পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডি নিয়ে আমি হলে যাই। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী এবং ক্যান্টিনের দোকানদার দুজনকেই আসার জন্য বলা হলেও সেই শিক্ষার্থীকে হলে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাই। আমরা তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলেও সে আসেনি। এরপর প্রত্যক্ষদর্শী এবং ভুক্তভোগীর মতামত শুনে তাকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই বহিষ্কারাদেশ বুধবার থেকেই কার্যকর হবে এবং তদন্ত কমিটি গঠন করে তার একাডেমিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।