Image description

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে আবারও জটিলতা দেখা দিয়েছে। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ বুধবার নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা থাকলেও এখনো জকসুর আইন পাস না হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে কমিশন গঠন করা যাচ্ছে না। এর পরিবর্তে একটি প্রস্তুতি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করছেন। তিনি বলেন, ‘জকসুর আইন এখনো পাস হয়নি। তাই নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব নয়। তবে নির্বাচনের প্রাথমিক প্রস্তুতির কাজ চালিয়ে যেতে আমরা পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জকসু বিধি পাস না হওয়া পর্যন্ত এই কমিটি নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম সম্পন্ন করবে।

সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসানকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আনিসুর রহমান।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- আইন বিভাগের অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কানিজ ফাতেমা কাকলী এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের অধ্যাপক ড. জুলফিকার মাহমুদ।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে পাস হওয়া জকসু বিধিমালা ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় দ্রুত একটি কমিটি গঠন করে আইন চূড়ান্ত করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশা, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আইন পাস হবে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ১৭ সেপ্টেম্বর জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রোডম্যাপ অনুযায়ী, ৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন গঠন এবং ২৭ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে আইন পাসে বিলম্ব হওয়ায় এই সময়সূচি পরিবর্তন হবে।

উল্লেখ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। তখন বিশ্ববিদ্যালয়টি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত কলেজ হিসেবে পরিচালিত হতো। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২০ বছর হলেও এখন পর্যন্ত কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।