
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সংঘর্ষের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড মোহাম্মদ তৌফিক আলম উপস্থিত হলে তিনিও আহত হন। তবে এ সময় প্রক্টরিয়াল বডির মাত্র একজন সহকারী প্রক্টর উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার্থীরা প্রক্টরিয়াল বডির উদাসীনতাকে এ ঘটনায় জন্য দায়ী করছেন।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোলা রোডে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ১২ ব্যাচের একদল শিক্ষার্থী নবনির্মিত বিটাক ভবনের মাঠে মার্কেটিং বিভাগের ১০ম ব্যাচের ফয়সাল নামে এক সিনিয়র শিক্ষার্থীর সঙ্গে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে প্রথমে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। এ সময় ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা মার্কেটিং বিভাগের ওই সিনিয়রকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করান। সিনিয়র বিষয়টি তাদের ব্যাচের গ্রুপে জানালে কয়েকজন মাঠে গেলে তাদেরকেও মারা হয়। ঘটনাস্থলে মার্কেটিং বিভাগের তিন শিক্ষার্থী আহত হন। পরে দুজনকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে ঘটনার পরপরই মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট-১-এর সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। অন্যদিকে, নবনির্মিত বিটাক ভবনে অ্যাকাউন্টটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। পরে বিটাক ভবনের দিকে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা গেলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
প্রায় এক ঘণ্টা সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে দুই বিভাগের শিক্ষক ও প্রক্টরিয়াল বডির লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা দুই গ্রুপকে শান্ত করার চেষ্টা করছে।
আহত মার্কেটিং বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, আমরা গ্রুপে একটা মেসেজ দেখে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি আমাদের ফয়সালকে মারধর করতেছে। এ সময় ছাড়াতে গেলে আমাকেও ঘিরে ধরে। পরে আমি জুতা রেখে সেখান থেকে দৌড়ে ছুটে আসি।
অ্যাকাউন্টটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা মিমাংসায় বসার জন্য প্রস্তুত। তবে এ ঘটনায় তারা কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড রাহাত হোসেন ফয়সাল বলেন, দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। আগামীকাল তাদের নিয়ে বসবো। উভয় বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।