Image description

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ফলাফল আদায় করেই শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরবে বলে মন্তব্য করেছেন শিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের জিএস প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম। একই সঙ্গে আজকের মধ্যে ফলাফল না পেলে ‘ফলাফল আদায় করতে যা প্রয়োজন, শিক্ষার্থীরা তা করবে’ বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

আজ শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন কথা বলেন তিনি।

মাজহারুল ইসলাম বলেন, আজ ২০২৫ সালে এসেও সেই হাতে গুণে গুণে ব্যালট পেপার গোণা, ভোট গণনা করা, মান্ধাতার আমলের এই প্রক্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেফার করা উচিত নয় বলে আমি মনে করি। সে জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শুরুতেই ওএমআর পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল। কিন্তু ছাত্রদল ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ মিলে এমন এক ঠুনকো অভিযোগ করেছে যে ওএমআর নাকি জামায়াতের প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া হয়েছে, এজন্য করা যাবে না। যদি ওই মেশিন নিয়ে সমস্যা থাকত, ওই মেশিনের স্বচ্ছতা নিয়ে কথা বলতে পারতেন, কিন্তু ঠুনকো অভিযোগ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ওই প্রতিষ্ঠান আসলে জামায়াতের প্রতিষ্ঠান নয়, বিএনপিপন্থী একজনের প্রতিষ্ঠান। সুতরাং এই ঠুনকো দাবিকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সম্পূর্ণরূপে ওএমআরই বাতিল করে দিল। তাদের জুজুর ভয়ে ওএমআর বাতিল করার কারণেই আজকের এই দীর্ঘসূত্রতা। এই ম্যানুয়াল ভোট গ্রহণের কারণে মাত্র হলের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদের ভোট তো হলের দ্বিগুণ। আমরা এখনও নিশ্চিত না কোন পর্যায়ে গিয়ে এই ভোট গণনা শেষ হবে। কোন পর্যায়ে গিয়ে ভোটের ফলাফলটা পাব।

মাজহারুল ইসলাম বলেন, এরই মধ্যে আমরা শুনতে পাচ্ছি হঠাৎ বিএনপিপন্থী শিক্ষক যারা আছেন, তারা বিভিন্ন ঠুনকো অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন, নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছেন।

হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আমরা গতকালকেই ফলাফল চেয়েছিলাম। ইতোমধ্যেই একদিন পার হয়ে গেছে। এর মধ্যে যুক্ত হয়েছে নির্বাচন বানচালের বিভিন্ন পাঁয়তারা। আমরা জাকসু চাই, শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকারের যথাযথ রিফ্লেকশন চাই। সে রিফ্লেকশন চাওয়ার ব্যাপারে আমাদের ঐক্য রয়েছে। আমরা চাচ্ছি, ভোট গণনা কার্যক্রম যেভাবে সহজতর করতে হয়, সেভাবে করতে। ভোটগণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকে সরবো না। আজকে ফলাফল নিয়েই আমরা ঘরে যাব। শিক্ষার্থীরা ফলাফল আদায় করতে যা প্রয়োজন, তা করবে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত জাকসু ও হল সংসদের ভোটগ্রহণ শেষে সন্ধ্যা সাতটায় শুরু হয় গণনা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৯টির গণনা শেষ হয়েছে। এখনও দুটি কেন্দ্রের ভোট গণনা বাকি।