
মাগুরায় প্রথম স্ত্রীর দেওয়া আগুনে ঝলসে গেছেন এক ব্যক্তি, তাঁর তৃতীয় স্ত্রী ও তাঁদের ১০ মাস বয়সী শিশু সন্তান। ঘটনার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন অভিযুক্ত প্রথম স্ত্রী সুমি খাতুন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের শ্রীমন্তপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঝলসে যাওয়া ব্যক্তির নাম বাহারুল ইসলাম (৫০)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর তৃতীয় স্ত্রী লাভলী খাতুন (৩০) এবং শিশু সন্তান রোহান। তাঁদের তিনজনকেই মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে অবস্থার অবনতি হওয়ায় আজ শনিবার সকালে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
পারিবারিক সূত্র ও পুলিশ জানায়, শ্রীমন্তপুর গ্রামের বাহারুল ইসলাম তিনটি বিয়ে করেছেন। দ্বিতীয় স্ত্রী বর্তমানে সংসার ছেড়ে চলে গেছেন। শুক্রবার রাত ১টার দিকে সুমি খাতুন বাহারুল ও তাঁর পরিবারের বসবাসরত শোবার ঘরের দরজায় বাইরে থেকে সিটকিনি লাগিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ সময় ঘরে বাহারুল, তাঁর তৃতীয় স্ত্রী ও শিশু সন্তান ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘরে আগুন লাগার পর বাহারুল চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এবং তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী জানান, আগুনের ঘটনার পর বাহারুলের প্রথম স্ত্রী সুমি খাতুন হাজিপুর পুলিশ ফাঁড়িতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তবে এখনও থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।