
সংবাদ প্রকাশের জেরে ছাত্রলীগই ভালো ছিল, ধরে ধরে পিটাইতো বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আঞ্জুমান আরা। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) হলের লাইব্রেরি থেকে নিয়মিত বই চুরির সংবাদ প্রকাশ করায় এ মন্তব্য করেন তিনি। এদিন দিবাগত রাতে সাংবাদিকের সঙ্গে মুঠোফোনে আলাপকালে বলেন, ‘আগে ছাত্রলীগ ছিল না? তারাই ভালো ছিল, ধরে ধরে পিটাইতো ঐটাই ঠিক ছিল।’
অধ্যাপক আঞ্জুমান আরা বলেন, ‘এতো তাড়াহুড়া কিসের? সে দৌড়াইয়া নিউজ করে দিছে। হলে কিছু মেয়ে আছে সবকিছু এখনই চায়। তারা কি হয়ে গেছে?’
সংবাদ প্রকাশ করা সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘ও আমার হলের শৃঙ্খলা কমিটিতে আসবে। নিউজের জন্য জবাবদিহি করবে। ওই আবার নিউজ করবে। এতো সময় নাই আমার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার।’
হল প্রভোস্ট বলেন, ‘সাদা দলের লোক নাই, তাই প্রভোস্ট হয়েছি। এত ঠেকা নাই আমার। নির্বাচন হলে তখন দলের অনেক লোক হবে। কেউ দায়িত্ব নিতে চাইলে তখনই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে চলে যাব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমি বই চুরির বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। তবে সাংবাদিকের সঙ্গে এরূপ আচরনের ঘটনা সম্পর্কে এখনও কিছু জানি না। খোঁজ-খবর নিচ্ছি। এমন ঘটনা ঘটে থাকলে, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে হলের লাইব্রেরি থেকে বই চুরি নিয়ে দৈনিক দেশ রূপান্তরে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে জবি প্রতিবেদক ফাতেমা আলীকে ‘হলুদ সাংবাদিক’ আখ্যা দেন। এদিন রাত ১২ টার দিকে হলের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় তাকে ডাকা হয়।