Image description

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে একটি নতুন মডেল থানা স্থাপন করা হবে। একইসঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে এরইমধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর আবেদনপত্র পাঠানো হয়েছে বলে জানান উপাচার্য প্রফেসর ড. ইয়াহিয়া আখতার।

 আহত শিক্ষার্থীদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে এবং ব্যয়ভার বহন করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ;
 তালিকা করা হবে আহত শিক্ষার্থীদের;
 সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধানের স্বার্থে দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি মডেল থানা ও রেলগেটে নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় শাটল ট্রেনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে;
 যেসব ভবন/কটেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বসবাস করেন, সেসব ভবন/কটেজের মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষার্থীদের ঘরভাড়াসহ অন্যান্য সমস্যাজনিত অসন্তোষ নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে;
 বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুটি অ্যাম্বুলেন্স ক্রয় ও ৫০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতালে রূপান্তরের জন্য ডিপিপি প্রণয়ন করে সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে;
 বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে ১০তলাবিশিষ্ট পাঁচটি ছাত্র হল ও পাঁচটি ছাত্রী হল নির্মাণে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ডিপিপি প্রস্তুত করে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেওয়া হবে;
 বিদ্যমান আবাসিক হলগুলো সংস্কার করে শিক্ষার্থীদের বসবাস উপযোগী করা হবে;
 বিদ্যমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন ও টহল কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হবে;
 দুদিনের ঘটনা তদন্ত করে এর কারণ অনুসন্ধান ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণসহ দোষীদের চিহ্নিত করতে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত
সংঘটিত ঘটনা তদন্ত করে এর কারণ অনুসন্ধান, দোষীদের চিহ্নিতকরণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।