Image description

ছাত্রসংসদ নির্বাচন ঘিরে ঢাকা, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এখন সরগরম। ছাত্রসংগঠনগুলো প্যানেল গঠন ও প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত। দীর্ঘদিন পর ভিন্ন এক পরিবেশে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের আমেজে উৎসবমুখর এ তিন ক্যাম্পাস। কিন্তু ছাত্রসংসদ ছিল, একাধিকবার নির্বাচনও হয়েছে—এমন চারটি ক্যাম্পাস সুনসান। সেখানে শিক্ষার্থীরা দাবি তুললেও প্রশাসনের তেমন সাড়া নেই।

তবে এ সাতটি ক্যাম্পাসের বাইরে তুলনামূলক নতুন আরও ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংসদ গঠন ও নির্বাচন করার কোনো আইনই নেই। সেখানে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নির্বাচনের আইনগত ভিত্তি তৈরির দাবি উঠেছে। কয়েকটি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে আন্দোলনে নামলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো হেলদোল নেই। ফলে বেশিরভাগ ক্যাম্পাসেই শিক্ষার্থীরা তাদের নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না। এ নিয়ে হতাশ তারা।

ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩ সালে প্রণীত অধ্যাদেশ প্রায় একই রকম। চার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশের ২০(১) ধারায় ছাত্রসংসদ ও সিনেটে পাঁচজন ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট করার বিধান রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে বুয়েট ও বাকৃবির অধ্যাদেশ এবং শাবিপ্রবির আইনেও ছাত্রসংসদ প্রতিষ্ঠার বিধান রয়েছে।

অধ্যাদেশ ও আইনের বিধানমতে এ সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণাঙ্গ গঠনতন্ত্র প্রণয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটে এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার রাখা হয়েছে।

 

বর্তমানে শিক্ষা কার্যক্রম চালু থাকা ৫৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬টির আইনে ছাত্রসংসদের কোনো বিধান বা ছাত্রসংসদ পরিচালনার আইনগত ভিত্তি নেই। এটি আনতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে সংবিধি যুক্ত করার প্রয়োজন পড়বে।

শাকসু নিয়ে আমরা ইতিবাচক। শিক্ষার্থীরা শাকসু চায়। প্রশাসনের তো আপত্তি থাকার কোনো কারণ নেই। দ্রুত এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।- শাবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম

শিক্ষাবিদরা বলছেন, আইন না থাকাটা ছাত্রসংসদ নির্বাচনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ নয়। যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় চাইলেই তার সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট সভা করে বিশ্ববিদ্যালয় আইনে এটি যুক্ত করার ক্ষমতা রাখে। এটি শুধু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সদিচ্ছার বিষয়।

আইন না থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যরা বলছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের (শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি) পক্ষ থেকে কোনো সবুজ সংকেত না থাকায় তারা এ নিয়ে আগ বাড়িয়ে কিছু করতে চাইছেন না। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইতিবাচক কিছু জানানো হলে তারা সিন্ডিকেট সভা করে আইন যুক্ত করতে পারবেন।

 

৩ ক্যাম্পাসে ভোট, ৪ ক্যাম্পাস ‘নীরব’

১৯২৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) প্রতিষ্ঠিত হয়। এটিই দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম ছাত্রসংসদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আরও ছয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংসদ চালু করা হয়। সেগুলো হলো—রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

সাত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ছাত্রসংসদ বন্ধ ছিল। ২০১৯ সালে ডাকসুর নির্বাচন হয়। এরপর আবার অনিয়মিত হয়ে পড়ে। বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তিন দশক ধরে কোনো নির্বাচন হয়নি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দাবি ওঠে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের। ক্যাম্পাসগুলোতে শুধু ছাত্রলীগ ছাড়া অন্য সব ছাত্রসংগঠনের সরব উপস্থিতিতে পরিবেশ ফেরে ছাত্রসংসদের।

শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সবার আগে ডাকসুর তফসিল ঘোষণা করা হয়। তাতে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (জাকসু) তফসিল অনুযায়ী—১১ সেপ্টেম্বর এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (রাকসু) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী—১৫ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ করা হবে। ফলে এ ক্যাম্পাসগুলোতে চাঙা হয়ে উঠেছে ছাত্রসংগঠনগুলো। তারা দলবদ্ধ প্যানেল দিচ্ছেন। তাছাড়া পরিবেশ অনুকূলে থাকায় অসংখ্য শিক্ষার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন। সবমিলিয়ে ডাকসু, জাকসু ও রাকসু ঘিরে এ তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোটের হাওয়া বইছে। দেশের মানুষের সবার দৃষ্টিও উচ্চশিক্ষার আঁতুড়ঘর বলে পরিচিত এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের দিকে।

ছাত্রসংসদ ব্যবস্থা চালু করতে আইনি কাঠামো দরকার। সেটি নিয়ে একটি কমিটি কাজ করছে। কাঠামোটির খসড়া নিয়ে আইন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম

ঠিক একই সময়ে ছাত্রসংসদ চালু থাকার পরও চবি, বুয়েট, বাকৃবি ও শাবিপ্রবিতে নির্বাচনের কোনো আমেজ নেই। চাকসু, বাকসু ও শাকসু নির্বাচনের দাবিতে শিক্ষার্থীরা মাঠে নামলেও ইউকসু নির্বাচন নিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। তবে দাবি তুললেও চাকসু, বাকসু, শাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনের কোনো সাড়া মিলছে না।

চাকসু নির্বাচনের দাবিতে সম্প্রতি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রশিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীসহ কয়েকটি ছাত্রসংগঠন। চবি শিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলী জাগো নিউজকে বলেন, ‘কিছু সংস্কার করে আমরা দ্রুত চাকসু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু অভ্যুত্থানের ম্যান্ডেটের ওপর ভিত্তি করে এ প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা এ নিয়ে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না। আমরা অবিলম্বে চাকসু নির্বাচন চাই।’

বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত বলেন, ‘চাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্কার করা জরুরি। সেটা দ্রুতই করা সম্ভব। আমরা এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তুলে ধরেছি। প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে দ্রুত তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন আয়োজন করতে পারে।’

চবি উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার জাগো নিউজকে বলেন, ‘গঠনতন্ত্র নিয়ে কিছু আপত্তি ছিল। কমিটি করে গঠনতন্ত্র সংশোধন করেছি। গত ১ আগস্ট সেটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনও গঠন করেছি। কমিশন সবার সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত তফসিল ঘোষণা করবে।’

শাকসু নির্বাচনের দাবিতে সম্প্রতি প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা। তাতে ছয়টি দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে অন্যতম এক সপ্তাহের মধ্যে তফসিল ঘোষণা। এ নিয়ে জানতে চাইলে শাবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম বলেন, ‘শাকসু নিয়ে আমরা ইতিবাচক। শিক্ষার্থীরা শাকসু চায়। প্রশাসনের তো আপত্তি থাকার কোনো কারণ নেই। দ্রুত এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

ইউকসু নির্বাচন নিয়ে অবশ্য বুয়েট শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। বুয়েটের ১৯ ব্যাচের একজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করে জাগো নিউজকে বলেন, ‘বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি কেউই চায় না। ছাত্রসংসদের বিষয়টি এলে ছাত্ররাজনীতিও আসবেই। সে কারণে আমাদের ইউকসু নির্বাচন প্রয়োজন নেই।’

তুলনামূলক নতুন বা বেশ আগে প্রতিষ্ঠিত হলেও ছাত্রসংসদ আইন নেই—এমন বিশ্ববিদ্যালয় অনেক। ছাত্ররা গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি চাইলে, প্রশাসনের করণীয় কী সেটা নিজেরা ঠিক করতে পারবেন।- ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ

তবে ২৩ ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী জাগো নিউজকে বলেন, ‘ছাত্রসংসদ নির্বাচন দলভিত্তিক বাদেও করা সম্ভব। আমাদের এখানে বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশন তো আছে। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে তারা কাজ করছেন। ঠিক একইভাবে ছাত্রসংসদও চালু করা সম্ভব।’

ছাত্রসংসদ আইন নেই ৪৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে

বর্তমানে ছাত্রসংসদ চালু থাকা সাত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ছয়টিই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল স্বাধীনতার আগে। স্বাধীনতার পর প্রতিষ্ঠিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শাবিপ্রবি ছাড়া আর কোনোটিতেই ছাত্রসংসদ প্রতিষ্ঠিত হয়নি। শিক্ষা কার্যক্রম চলমান আছে এমন ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ছাত্রসংসদের কোনো বিধান রাখা হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসন বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে উল্লেখ না থাকার কারণেই ছাত্রসংসদের দাবি উঠলেও হুট করে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া সরকারের পক্ষ থেকেও কোনো গ্রিন সিগন্যাল বা সবুজ সংকেত নেই।

এদিকে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজি মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গণতান্ত্রিক চর্চা নিশ্চিতে ছাত্রসংসদ প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছেন। এর মধ্যে জগন্নাথ, ইসলামী, কুমিল্লা, হাজি দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ, সমাবেশ ও অনশন করেছেন।

জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘ছাত্রসংসদ ব্যবস্থা চালু করতে আইনি কাঠামো দরকার। সেটি নিয়ে একটি কমিটি কাজ করছে। কাঠামোটির খসড়া নিয়ে আইন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

নাম প্রকাশ না করে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জাগো নিউজকে বলেন, ‘আইনে যেহেতু ছাত্রসংসদের কথা উল্লেখ নেই, সেক্ষেত্রে হুট করে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়। সিন্ডিকেট সভা করে বা বিশেষ প্রক্রিয়ায় এটা যুক্ত করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সরকার তথা শিক্ষা মন্ত্রণালয় অথবা ইউজিসি থেকে এ নিয়ে ইতিবাচক বার্তা পেলে করা সম্ভব। কিন্তু আমি কোনো বার্তা পাইনি। আমাদের মতো যাদের আইন নেই, তেমন আরও ৪-৫টা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেও এমন তথ্য পেয়েছি। তারা সরকারের গ্রিন সিগন্যালের অপেক্ষায় রয়েছেন।’

তবে এ নিয়ে সরকার বা ইউজিসির অনুমোদন প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘তুলনামূলক নতুন বা বেশ আগে প্রতিষ্ঠিত হলেও ছাত্রসংসদ আইন নেই—এমন বিশ্ববিদ্যালয় অনেক। ছাত্ররা গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি চাইলে, প্রশাসনের করণীয় কী সেটা নিজেরা ঠিক করতে পারবেন।’

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আইনের ৪০(১) বিধিতে সংবিধি প্রণয়নের স্পষ্ট সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় চাইলেই সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে ছাত্রসংসদের বিষয়ে সংবিধি প্রণয়ন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে পারে। এতে কোনো বাধা নেই।’

ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ছাত্রসংসদ নির্বাচনের নতুন যে যাত্রা শুরু হয়েছে, সেটি ইতিবাচক। দেশে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রেও ছাত্রসংসদ নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়া যেসব নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ছাত্রসংসদের বিষয়টি উল্লেখ নেই, আমার মতে সেসব আইনই অপূর্ণ। প্রশাসনের উচিত এসব আইন সংশোধন করে পূর্ণতা দেওয়া।’