
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ছাত্র সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে একদল শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে বসেছেন। রবিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের উত্তর গেটে অনশন শুরু করেন তারা। এবার শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
আজ সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আল আমিন, সদস্য সচিব রাশেদ মণ্ডল, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. সুমন সরকার ও সেক্রেটারি মো. আব্দুর রাকিব মুরাদসহ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে উপস্থিত হন।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় চলমান এই আমরণ অনশনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ‘নো নো নভেম্বর, নাউ অর নেভার’, ‘সংহতি সংহতি, অনশনে সংহতি’, ‘সংসদ ছাড়া ক্যাম্পাস, চলবে না চলবে না’, ‘এক দফা এক দাবি, ছাত্র সংসদ কখন দিবি’, ‘সাঈদ যে দিন বুক পেতেছে, ভয় সে দিন দূর হয়েছে’, ‘ছাত্র সংসদ আমাদের অধিকার’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
অনশনে থাকা শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের পাশে যে সকল শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক দল, সামজিক সংগঠন পাশে দাড়িয়েছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী শাওন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক চর্চা ও শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষার অন্যতম প্ল্যাটফর্ম হলো ছাত্র সংসদ। দীর্ঘদিনেও এ নির্বাচন না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আল আমিন বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই ছাত্র সংসদের পক্ষে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করে আসছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ছাত্র সংসদের গঠনতন্ত্র অন্তর্ভুক্ত নেই।
বেরোবি শাখা শিবিরের সভাপতি মো. সুমন সরকার বলেন, ‘ছাত্র সংসদ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম যেখানে শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রশাসন থেকে আদায় করে নিবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংসদ প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি। বাংলাদেশের ইসলামী ছাত্রশিবির শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে সঙ্গে শিবির আগেও ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।’