Image description

গোপালগঞ্জে এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগে বিক্ষোভের পর শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে আজ রোববার তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম তালুকদার। কমিটিকে আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক আজ এ তথ্য জানান। সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষক মোহাম্মদ মিরাজ হোসেন বিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষক। 

প্রধান শিক্ষক জানান, গত ৬ আগস্ট ভুক্তভোগী ছাত্রীর জন্মদিন ছিল। ছুটির পর বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনে তার জন্মদিনের অনুষ্ঠান করেন শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থী ভুলে সেখানে ডায়েরি রেখে চলে আসেন।

প্রধান শিক্ষক বলেন, সেখানে ডায়েরি আনতে গেলে শিক্ষক মিরাজ হোসেন তাকে একা পেয়ে অশালীন আচরণ করেন। এরপর শিক্ষার্থী কাঁদতে কাঁদতে পরিত্যক্ত ভবনের কক্ষ থেকে বেরিয়ে সহপাঠীসহ অন্য শিক্ষার্থীদের বিষয়টি জানায়। পরদিন শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে তারা লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

এ ব্যাপারে ৫০ জন শিক্ষার্থীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, বহিষ্কৃত শিক্ষক আগেও বিদ্যালয়ে একই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। তখন ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। এরপর তিনি কয়েক মাস জেল খেটেছেন। আপস করে তিনি মামলা থেকে রক্ষা পান।

আজ বিদ্যালয় খোলার পর শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধনসহ বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা দাবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড বহন করেছে। খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং অ্যাডহক কমিটির সভাপতি তাঁর কার্যালয়ে প্রধান শিক্ষক, শিক্ষার্থীর অভিভাবকসহ অন্যদের ডেকে নেন।

শিক্ষার্থীর বাবাসহ উপস্থিত সবার কথা শুনে ঘটনার সত্যতা পান সভাপতি। তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেন তিনি। এ খবরে বেলা আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং অ্যাডহক কমিটির সভাপতি সেলিম তালুকদার বলেন, তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে শিক্ষা অফিসের অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার অরুণচন্দ্র মণ্ডলকে। অন্য দুই সদস্য হলেন- কমিটির সদস্য এবং এক সহকারী শিক্ষক। তদন্তে শিক্ষক মিরাজ হোসেন দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি তাঁকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করা হবে বলে জানান তিনি।